জাপানের ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (এলডিপি) তাদের নতুন নেতা হিসেবে রক্ষণশীল জাতীয়তাবাদী সানা তাকাইচিকে বেছে নিয়েছে। দলের এই সিদ্ধান্তে জাপানের ইতিহাসে প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথে অনেকটাই এগিয়ে গেছেন তিনি।
আগামী ১৫ অক্টোবর জাপানের পার্লামেন্টে ভোটাভুটি হবে। ওই ভোটে তাকাইচি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবার স্থলাভিষিক্ত হতে পারেন। তবে এখনো বিষয়টি নিশ্চিত নয়, কারণ গত বছর ইশিবার আমলে এলডিপি ও তাদের জোট সংসদের দুই কক্ষেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছিল।
ক্রমবর্ধমান মূল্যবৃদ্ধির কারণে ক্ষুব্ধ জনসাধারণের আস্থা পুনরুদ্ধার করতে ৬৪ বছর বয়সী তাকাইচিকে নির্বাচিত করেছে লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি। সম্প্রতি বিদেশিদের ওপর কঠোর ব্যবস্থা এবং বড় ধরনের প্রণোদনা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিরোধী দলগুলো ভোটারদের আকৃষ্ট করছে।
দ্বিতীয় রাউন্ডের ভোটের আগে নিজের বক্তব্যে তাকাইচি বলেন, “সম্প্রতি আমি দেশজুড়ে কঠোর কণ্ঠস্বর শুনেছি—মানুষ জানতে চায়, এলডিপি আসলে তাদের জন্য কী করছে। এই জরুরি অবস্থার অনুভূতি আমাকে তাড়িত করেছে। আমি চাই মানুষের উদ্বেগকে আশায় পরিণত করতে।”
রক্ষণশীল দৃষ্টিভঙ্গির জন্য পরিচিত তাকাইচি ব্রিটেনের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচারকে নিজের আদর্শ হিসেবে মনে করেন। এছাড়া তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বিনিয়োগ চুক্তি পুনর্নবীকরণের ইঙ্গিতও দিয়েছেন—যে চুক্তিতে জাপানি করদাতাদের সমর্থিত বিনিয়োগের বিনিময়ে শাস্তিমূলক শুল্ক কমানো হয়েছিল।