প্রথম আলো আওয়ামী লীগ, জনগণ ও দেশের শত্রু বলে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নাম প্রথম আলো কিন্তু বাস করে অন্ধকারে। এরা দেশে কখনও স্থিতিশীলতা থাকতে দিতে চায় না।’ সোমবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে জাতীয় সংসদের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বিশেষ অধিবেশনে বক্তব্য রাখার সময় সংসদ নেতা একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে প্রথম আলো পত্রিকার সমালোচনা করে বলেন, ‘পত্রিকাটি আওয়ামী লীগ, জনগণ ও দেশের শত্রু। গণতন্ত্রকে বাদ দিয়ে তারা এমন একটি সরকার আনতে চাচ্ছে, যাদের গণতান্ত্রিক কোনো অস্তিত্বই থাকবে না, অগণতান্ত্রিক ধারা।’
তিনি বলেন, ‘একটি ৭ বছরের শিশুর হাতে দশ টাকা ধরিয়ে দিয়ে তার মুখ থেকে ভাত মাছ, মাংসের স্বাধীনতা চাই বলিয়ে, সেটি প্রচার করা। স্বনামধন্য একটি পত্রিকা, খুবই জনপ্রিয়। নাম তার প্রথম আলো। কিন্তু বাস করে অন্ধকারে। এরা এই দেশে কখনও স্থিতিশীলতা থাকতে দিতে চায় না।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০০৭ সালে যখন জরুরি অবস্থা জারি করা হয়, তখন তারা উৎফুল্ল হয়। দুটি পত্রিকা আধাজল খেয়ে নেমে গেল। বাহবা কুড়াল। আর তার সঙ্গে আছেন একজন সুদখোর। সে আবার যুক্তরাষ্ট্রের খুবই প্রিয়। যুক্তরাষ্ট্র একবারও জিজ্ঞাসা করে না যে ব্যাংক (গ্রামীণ ব্যাংক) একটা সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান। সরকারের বেতন তুলত যে এমডি, সে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার কোথা থেকে পেল যে যুক্তরাষ্ট্রের মতো জায়গায় সামাজিক ব্যবসা করছে; বিনিয়োগ করছে।’
যুক্তরাষ্ট্রে মানবাধিকার ও গণতন্ত্র কোথায় প্রশ্ন রেখে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যারা গরিবের রক্তচোষা টাকা বিদেশে পাচার করে শতকোটি টাকার মালিক হচ্ছেন, তাদের কাছ থেকে মানবতার কথা শুনতে হয়। আবার আন্তর্জাতিক পুরস্কারও পেয়ে যান। তারা এ দেশে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার চেষ্টা করছেন। মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলছেন।’
আফ/দীপ্ত সংবাদ