শনিবার, নভেম্বর ২৩, ২০২৪
শনিবার, নভেম্বর ২৩, ২০২৪

প্রতিবেদকের চোখে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত

Avatar photoদীপ্ত নিউজ ডেস্ক

২ ফেব্রুয়ারি রাত নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের বাসিন্দাদের জন্য হয়ে ওঠে বিভিষীকার। মিয়ানমার সীমান্তবর্তী এই এলাকায় শুরু হয় তুমুল গোলাগুলি। একদিকে আরাকান আর্মি, অপরদিকে মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি)। দুপক্ষের ছোড়া গুলি মর্টার শেল বাংলাদেশে এসে পড়তে থাকে- এমন খবরের ভিত্তিতেই ঢাকা থেকে বান্দরবানে রিপোর্টার পাঠানোর সিদ্ধান্ত।

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি, তমব্রু ও ঘুমধুম সীমান্ত। এছাড়াও নাফ নদীর তীর ঘেষে কক্সবাজারের টেকনাফ পর্যন্ত দিনকে দিন বাড়তে থাকে অস্থিরতা।

অফিসে সিদ্ধান্ত হলোসীমান্তে যেতে হবে। পরে, স্থানীয় সহকর্মীদের সঙ্গে আলাপ শুরু হলো। জানা গেলো, ঘটনার শুরু বান্দরবান সীমান্ত এলাকায়। তবে, বান্দরবান শহর থেকে ঘটনাস্থলের দূরত্ব ১৬০১৭০ কিলােমিটারের ওপরে। এবার যাতায়াত সহজ করতে আলাপ কক্সবাজারে। সেখান থেকে দূরত্ব ৬০৭০ কিলোমিটার। রাতে নিরাপদে থাকা ও অফিসের সরঞ্জাম ও গাড়ির নিরাপত্তা মাথায় রেখে কক্সবাজার থাকার সিদ্ধান্ত হলো।

আসিফ জামান সুমিত

মিয়ানমারের সরকারি বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির যুদ্ধ চলছে। এপারেও এসে পড়েছে তার আঁচ। হাতে এক রাতের সময়, মোটামুটি সাতদিন থাকার প্রস্তুতিতে কাপড় গুছিয়ে নিলাম। পরিবারের সদস্যরাও সহযোগিতা করছে। তবে, তাদের মুখেও কিছুটা আতঙ্কের ছাপ। বরাবরই সতর্ক থাকার পরামর্শ। একটু বলে রাখি, সাংবাদিকতা শুরু থেকে জাতীয় নির্বাচনসহ বিভিন্ন নির্বাচনকালীন সংঘর্ষের সংবাদ সংগ্রহ, তাজরীন, রানা প্লাজা, হেফাজত, যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি, হলি আর্টিসানসহ দেশের অধিকাংশ জঙ্গিবিরোধী অভিযানে সংবাদ সংগ্রহের অভিজ্ঞতা আছে ঝুলিতে। সেটাই সম্বল। তবে, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে হকারদের সংঘর্ষের সংবাদ সংগ্রহে গিয়ে একটা পক্ষের হাতে বেড়ক মারধরে মাথা ফাটিয়ে সেলাই নিয়ে আইসিইউতে থাকার ঘটনাও আমার অভিজ্ঞতার অংশ। সেই সাহসে এবার যুদ্ধের সংবাদ সংগ্রহ।


গন্তব্য নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্ত এলাকা। গাড়িতে যুদ্ধ সংবাদ সংগ্রহের প্রস্তুতির জন্য বাড়তি যোগ হয়েছে বুলেটপ্রুপ জ্যাকেট, হেলমেট। সকাল ৭টায় ঢাকা থেকে রওনা হয়ে সন্ধ্যা ৭টায় পৌছে যাই ঘুমধুম সীমান্তে। দিনভরই খবর রাখছি। বলতে গেলে ঘটনার শুরু থেকেই প্রতিনিয়ত আপডেট তথ্য নিচ্ছি। সেই তথ্য আছে ঝুলির মধ্যে। কিন্তু ঘটনাস্থলে পৌঁছাতেই রাত, অপরিচিত জায়গা। বাংলাদেশমিয়ানমার সড়ক বা এশিয়ান হাইওয়ে হিসেবে পরিচিত বেশ লম্বাচওড়া সড়কটিতেও পিনপতন নীরবতা। সামনে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশবিজিবির ক্যাম্প। সেখানে এগোতেই দেখলাম সড়কের মাঝে বাঁশ; আড়াআড়ি দিয়ে সড়ক অবরোধ করে রাখা। বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে খেয়াল করলাম আমার ফোনে মোবাইল নেটওয়ার্ক অপ্রতুল। সিদ্ধান্ত নিলাম, পিছিয়ে আসার। কিলোমিটার পেছনে এসে একটা মোড়। সেখানে দুএকজন স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে বুঝলাম আমরা মিয়ানমার সীমান্তের খুব কাছে চলে গিয়েছিলাম।

আসিফ জামান সুমিত

অবাক হলাম!

সীমান্তের কাছাকাছি বেশকয়েকটি বাড়ি। দক্ষিণ ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তার পাশ দিয়ে গ্রামে ঢোকার রাস্তা। তবে, কোনো লোক নেই। মূলত সবাই প্রচণ্ড গোলাগুলিতে বাড়ি ফেলে চলে গেছে নিরাপদ অন্য কোনো আশ্রয়ে। তাই, গ্রামে মধ্যে দাঁড়িয়েও আমরা বুঝতে পারিনি কেন এতটা নিস্তব্ধ। রাতে গোলাগুলির শব্দ নেই। তারপরও কেউ ঘরে ফিরে আসেনি। আগের দিনের ভয়াবহতা ঠিকমত আঁচ করতে ২৫ মিনিট সময় নিলাম। এবার নিউজরুমের নির্দেশনা রাত ৯টায় লাইভ দিতে হবে। সীমান্তে যাওয়ার সাহস না দেখিয়ে কিছুটা দূরে রাত ১১টার সংবাদে লাইভ করলাম।

 

সীমান্তে কয়েকজনের সঙ্গে কথা হচ্ছে। কোনো না কোনো এলাকা থেকে প্রচণ্ড গুলির আওয়াজ পাওয়ার কথা জানছি। একটানা গোলাগুলি চলছে, আমি যেখানে থাকি, সেখানে গিয়েও গুলির শব্দ পাওয়া যায়। মাঝে মাঝে মনে হয় গুলি বুঝি আমাদের দিকেই তাক করে ছুড়ছে। খুব ভয় হচ্ছিল।

একদিনের ঘটনা

শুনলাম রহমতের বিল এলাকায় একটা মরদেহ পড়ে আছে। দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে ছুটে গেলাম সেখানে। গাড়ি রাখলাম ৪৫ কিলোমিটার দূরে। হেঁটে গিয়েও গুলির আওয়াজ পাচ্ছি। উত্তেজনা আর দীর্ঘ হাঁটতে হবেএ কারণে বুলেটপ্রুপ জ্যাকেট ও হেলমেট নেয়নি। কাছাকাছি যেতেই, গুলির আওয়াজে মাটির সড়কের মাঝে বসে পড়লাম। চোখে মুখে আতঙ্ক, তাকিয়ে আছি ক্যামেরা পারসনের দিকে। কী করবে সে? এমন ভাবনার মধ্যে সে গাড়ি চালককে জানালো ঝুঁকির মধ্যে আছি দ্রুত প্রতিরোধ ব্যবস্থা সঙ্গে রাখতে হবে। এরপর জ্যাকেট হেলমেট পরে কাজ শুরু করলাম। লাইভ শুরু হলো। পুলিশ মরদেহ নিতে এলেও প্রচণ্ড গোলাগুলির কারণে সেদিন আর তা সম্ভব হয়নি। বিজিবি সদস্যরাও আমাদের নিরাপদ দূরত্বে থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করলেন মাত্র। সেখানে বসেই ফুটেজ পাঠিয়েছি, স্ক্রিপ্ট পাঠিয়েছি। শব্দের কারণে আর ভয়েস দেয়া হয়নি। অফিস থেকেই ভয়েস দিয়ে প্যাকেজ বানানো হয়েছে সেদিন।

আসিফ জামান সুমিত

তুমব্রু, ঘুমধুম সীমান্ত

ঘুমধুম সীমান্ত থেকে তুমব্রু বাজারে যেতে সময় লাগে খুব অল্প। তবে, ভালো সড়কটি নতুন হয়েছে একেবারে সীমান্তের তার ঘেঁষে। পাশের পাহাড়ে হলুদ রঙের দেয়ালে মিয়ানমার পুলিশের ঘাঁটি দেখা যাচ্ছে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, এ ঘাঁটিগুলো দখল করে নিয়েছে আরাকান আর্মির সদস্যরা। যেহেতু তারা বিদ্রোহী গোষ্ঠী তাই তাদের চে্ইন অব কমান্ড সম্পর্কে আমরা ওয়াকিবহাল না। হঠাৎ শত্রু পক্ষ মনে করে গুলি করে দিলেও কীবা করার আছে?

বিজিবির দুই আর্মড কারের পাহারায় চললাম তুমব্রু প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। সেখানে ১০১ জন মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা বিজিপি সদস্যকে রাখা হয়েছে। যাদের বেশ কয়েকজনকে দেখলাম হাতপা ও পিঠে ব্যান্ডেজ মোড়ানো। সেখানে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারলাম এরা আহত অবস্থায় সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে।

যাদের বিজিবি হেফাজতে নিয়ে চিকিৎসা ও খাবার দিয়েছে। এছাড়া সবচেয়ে বড় বিষয় আরাকান আর্মির হাত থেকে বেঁচে পালিয়ে আশাদের নিরাপত্তা; সেটিও নিশ্চিত করেছে বিজিবি। পরে এদের সরিয়ে নেয়া হয় হ্নীলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।

কয়েকধাপে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে ৩৩০ জন বিজিপি, কাস্টমস কর্মকর্তা ও বেসামরিক নাগরিক। তারা সীমান্ত পার হয়েছে অস্ত্র হাতে। তাই তাদের অস্ত্র নিয়ে নিজেদের হেফাজতে নেয়া এই মূহুর্তে বিজিবির জন্য সবচেয়ে বড় কর্মযজ্ঞ। তমব্রু প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পর আরেক গ্রুপকে রাখা হলো ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয়ের আরেকটি ভবনে।

অনিরাপদ সীমান্তবাসীর জীবন

মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টার শেলের আঘাতে দুজন মারা গেছে। নবী হোছাইন নামের এক বৃদ্ধের ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। নিহত হোসনে আরার অবস্থাও একই রকম। মর্টার শেলের একটি অংশটি মিলেছে ঘটনাস্থল থেকে ২০ হাত দূরত্বে। এবার সবার চোখেমুখে আতঙ্কের ছাপ। এলাকার মানুষ তল্পীতল্পা গুছিয়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছে। এলাকায় রাত এলেই নিরবতা ভর করে। দূরে গুলির আওয়াজও খুব কাছেই মনে হয়। সারাক্ষণই গাড়ি কিম্বা গাছের আড়ালে দাঁড়ানোর চেষ্টা থাকতো। আর মনে হত এই বুঝি……….

অজানার পেছনে দৌঁড়

সীমান্তের থাকার এই সময়ে সকাল ছয়টায় ঘুম থেকে উঠি (এটাকে আদতেও ঘুম বলে কিনা, জানি না)। অর্থাৎ নিত্য কাজকর্ম সেরে গোসল দিয়ে রেডি হই। মাথায় থাকে লাইভের জন্য প্রস্তুতি থাকতে হবে। সাতটায় গাড়ি যাত্রা শুরু। উদ্দেশ্য প্রায় ৯০ কিলোমিটার কক্সবাজার টেকনাফ সড়কের কোন না কোন অংশের পাশের সীমান্তে আজ কী ঘটছে। সারাদিন খোঁজ রাখার পাশাপাশি নতুন নতুন স্টোরি (নিউজ) করার পরিকল্পনা করতে হয়। ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় সীমান্তের পাঁচটি সরকারি প্রাথমিক বন্ধ করা হয়েছে। সীমান্তে থাকা আর বিদ্যালয়গুলো কি নিরাপদ? প্রশ্ন জাগতেই গেলাম ঘুমধুম সীমান্তে থাকা উচ্চ বিদ্যালয়ে। সরকারি নোটিশ না থাকলেও স্কুল বন্ধ। সব কক্ষে ঝুলছে তালা।

 

শিক্ষার্থী নেই, শিক্ষকও নেই। এমন সময় চোখ পড়ল একটি দরজায়, খোলা দরজায় দাঁড়িয়ে সালাম দিলাম। দুজন ব্যক্তি ভেতরে। পরিচয় দেয়ার পরে জানলাম একজন প্রধান শিক্ষক অন্যজন অফিস সহকারী। জানলাম, আতঙ্কে এলাকা ছেড়েছে এলাকাবাসী। শিক্ষার্থীরা আর স্কুলে আসে না। তাই বাধ্য হয়েই স্কুল বন্ধ। এদিকে সামনে এসএসসি পরীক্ষা। তারও কেন্দ্র স্কুলটি। সেটি নিয়েও প্রধান শিক্ষক বেশ চিন্তিত। সংবাদ করলাম, সীমান্তে এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রেও নিরাপত্তা ঝুঁকি; কেন্দ্র পরিবর্তন হতে পারে। এরপর চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার জানিয়ে দেন ঘুমধুম পরীক্ষা কেন্দ্র পরিবর্তন করা হয়েছে।

সামনে এলো নতুন এক বাহিনীর নাম

সীমান্তে এপারে মাঝে মাঝেই নাকি অস্ত্র হাতে লোক আসার চেষ্টা করে। সীমান্তবাসীর এমন তথ্য শুনে মনে প্রশ্ন, এরা কারা? তারা জানায় এরা নবী হোসেন গ্রুপ। এবার নবী হোসেন গ্রুপের তথ্য অনুসন্ধানে পেলাম নানান কিছু। সীমান্তে আতঙ্কের আরেক নাম নবী হোসেন ও তার বাহিনী। নাফ নদীতে মাছ ধরতে গেলে বা সীমান্তের কাছের ফসলের মাঠে গেলেই অপহরণ করেন এই বাহিনী। পরে মোটা অংকের মুক্তিপণ নিয়ে ছেড়ে দেয়। কারও কারও ভাগ্য এতটা ভালো হয় না। প্রাণ নিয়েও ফিরতে পারেননি অনেকে। নবী হোসেন সীমান্তের সবচেয়ে বড় মাদক কারবারির একজন। যাকে ধরতে দুই বছর আগেই দশ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে বিজিবি। তবে, তাতেও কাজ হয়নি। নবী হোসেন গল্প অনেকটা এরকম, ২০১৭ সালে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করে সে। পরে বাহিনী গঠন করে। এরপর সীমান্তে ওপার থেকে ইয়াবা, আইস আনা তার বাহিনীর মূল কাজ হয়ে দাঁড়ায়। এছাড়াও চলে অপহরণ। স্থানীয়দের মুখে এবার নতুন খবর, মিয়ানমার বিজিপির অস্ত্র নিয়ে সে যুদ্ধে নেমেছে আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে। কারণ মিয়ানমারের জান্তা সরকার অর্থাৎ বিজিপি তাকে ইয়াবা পাচারে সহায়তা করে। ভুক্তভোগীদের বক্তব্য নিয়ে নবী হোসেন নিয়েও হল সংবাদ।

আতঙ্ক

এই কয়েকদিন গুলির আওয়াজ আর ধোঁয়া দেখে স্থানীয়রা জানিয়ে দিত ওপারে কোন এলাকায় কোন ক্যাম্প দখল নিয়েছে আরাকান আর্মির সদস্যরা। আমরাও কিছুটা গুগল ঘেঁটে মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে তথ্য পাঠাতাম অফিসে। তমব্রু, ঘুমধুম সীমান্তের ঘটনার সপ্তাহের বেশি সময় পরেও আতঙ্ক কাটেনি। নারী ও শিশুরা তখনও অন্যত্র থাকছে। কয়েকটি বাড়িতে পুরুষ সদস্য এলেও সন্ধ্যার পর ঘরের বাইরে যেতে ভয় পায়। এমন এক ব্যক্তির সঙ্গে একদিন কথা হচ্ছিল। যিনি নিজ মোবাইলে দেখালেন পরিবারের সদস্যরা মিলে হোয়াটস অ্যাপে গ্রুপ খুলেছেন। দুই ভাই দুই বাড়িতে আর মহিলারা অন্য এলাকায় থেকে একে অন্যের খবর আদান প্রদান করছেন। এর মাঝে দিনের বেলায় আবার খবর আসে ফসলের ক্ষেত, সীমান্তের কাছে কোন কোন জায়গায় পরে আছে মর্টার শেল। সেগুলো নিষ্ক্রিয় করা হয়। তবে, আতঙ্ক পিছু ছাড়ে না সীমান্ত পাড়ের বাসিন্দাদের।

১৫ ফেব্রুয়ারি সকালে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমারের ৩৩০ নাগরিককে উখিয়ার ইনানীতে অবস্থিত নৌবাহিনীর জেটিঘাট থেকে ওপারে পাঠানো হলো। সীমান্ত এলাকা ঘুরে ঘুরে মানুষের কষ্ট, ভয়আতঙ্ক নিয়ে প্রতিবেদন করেছি। ভিন্ন দেশ হয়েও মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ যুদ্ধের কারণে প্রাণ ভয়ে দৌঁড়াদৌড়ি চলছে প্রতিনিয়ত। প্রার্থনা একটাই নিরাপদ থাকুক আমার দেশের মানুষ।

 

লেখক: আসিফ জামান সুমিত

সিনিয়র ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট, দীপ্ত টেলিভিশন

 

আরও পড়ুন

সম্পাদক: এস এম আকাশ

অনুসরণ করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন

স্বত্ব © ২০২৩ কাজী মিডিয়া লিমিটেড

Designed and Developed by Nusratech Pte Ltd.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More