সোমবার, জুলাই ৭, ২০২৫
সোমবার, জুলাই ৭, ২০২৫

‘পৈতৃক ভিটায় যেতেও হুমকি, অন্যের রান্নাঘরে ঠাঁই নিয়েছি’

Avatar photoদীপ্ত নিউজ ডেস্ক

‘নিজে নাইটগার্ডের চাকরি করি, স্ত্রী মানুষের বাড়িতে কাজ করে। আগে মানুষের বাড়িতে থাকতাম। এখন ছেলে মেয়ে বড় হয়েছে। তাদের কথা চিন্তা করে সঞ্চয়ের টাকায় পৈতৃক ভিটায় ঘর তোলার কাজ শুরু করেও তুলতে পারছি না। হুমকি দেয়া হচ্ছে, ঘর তুলতে হলে চাঁদা দিতে হবে।লোকজন দিয়ে কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। পৈতৃক ভিটায় যেতেও হুমকি, অন্যের রান্নাঘরে ঠাঁই নিয়েছি। আমরা সঠিক বিচার চাই।’

পৈতৃক ভিটায় ঘর তুলতে না দেয়ার অভিযোগে বুধবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে এসব কথা বলেন সদর বরগুনার ফুলঝুড়ি ইউনিয়নের সাহেবের হাওলা গ্রামের গোলাম মোস্তফা খান। এ নিয়ে স্বপরিবারে সংবাদ সম্মেলনও করেছেন তিনি।

তার দাবি, কাজ শুরুর সপ্তাহ খানেক পর তার দুই ভাতিজা আমির হোসেন ও আউয়াল হোসেন স্থানীয় লোকদের সহায়তায় চাঁদা দাবি করে কাজ বন্ধ করে নির্মাণসামগ্রী ফেলে দেয়। এছাড়াও তার স্ত্রীসহ তাকে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। এরপরও কাজ চালিয়ে যেতে চাইলে তাদেরকে বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করে ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হচ্ছে।

গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘বিবাহযোগ্য মেয়ে থাকার কারণে দীর্ঘদিন পর ঢাকা থেকে ফিরে পৈতৃক ভিটায় বাড়ির ঘরের কাজ শুরু করেছিলাম। সেখানে ঘর তুলতে না দেয়ায় রাস্তায় রাস্তায় ঘুরেছি। ক্লান্ত হয়ে অবশেষে এক প্রতিবেশীর রান্নাঘরে ঠাঁই নিতে হয়েছে আমাদের।’

তিনি আরও বলেন, ‘সদর থানার পুলিশ এ বিষয়ে দুই বার বৈঠক করে সমঝোতা করতে চাইলেও আমিরের কারণে কোন সমঝোতা হয়নি। সবমিলিয়ে অসহায় জীবন যাপন করতে বাধ্য হচ্ছি আমরা। এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ চাই আমরা।’

এ বিষয় যোগাযোগ করেও অভিযুক্ত আমির হোসেন ও আউয়াল হোসেনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এ ব্যাপারে ফুলঝুরি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. গোলাম কিবরিয়া জানান, বিষয়টির খোঁজ খবর নিচ্ছি এবং এ বিষয়ে ইতোমধ্যে ভুক্তভোগী পরিবারকে মামলা করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

 

আল/দীপ্ত সংবাদ

 

আরও পড়ুন

সম্পাদক: এস এম আকাশ

অনুসরণ করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন

স্বত্ব © ২০২৩ কাজী মিডিয়া লিমিটেড

Designed and Developed by Nusratech Pte Ltd.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More