লুজ মোশন বা পেট খারাপ খুবই অস্বস্তিকর। বিশেষ করে যদি বাইরে বের হতে হয় তাহলে খুবই বিড়ম্বনায় পড়তে হয় বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পেট খারাপ ভালো করতে ঘরোয়া প্রতিকার অনুসরণ করতে পারেন। তাহলে পেট ঠান্ডা হবে, সেই সঙ্গেও পেটের অস্বস্তিও দূর হবে।
জেনে নিন পেট ঠান্ডা রাখতে কী খাবেন
ডাবের পানি: ডাবের পানি খেলে আপনার শরীরে একটি প্রাকৃতিকভাবে শীতলতা অনুভব করবেন। ডাবের পানি ভিটামিন, খনিজ এবং ইলেক্ট্রোলাইট সমৃদ্ধ, এটি আপনার শরীরকে ভালোভাবে হাইড্রেটেড রাখে, কার্যকরভাবে তাপের চাপ কমায়।
কলা: পটাসিয়াম সমৃদ্ধ কলা শরীরে তরল ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে পেট খারাপ কমায়। পেট ঠান্ডা রাখতে প্রতিদিন ১–২ টি পাকা কলা খান বা দই এবং মধু দিয়ে একটি কলার স্মুদি তৈরি করুন। এতেও স্বস্তি পাবেন।
দই: দইয়ে প্রোবায়োটিক রয়েছে। যা একটি উপকারী ব্যাকটেরিয়া। এটি অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্য পুনরুদ্ধার করতে এবং পেট খারাপ বন্ধ করতে সাহায্য করতে পারে। প্রতিদিন ১–২ কাপ সাধারণ এবং মিষ্টি ছাড়া দই খান। এটি পেট ঠান্ডা রাখবে।
বাটারমিল্ক: বাটারমিল্ক অনেক জায়গায় মসলাদার খাবারের সঙ্গে পরিবেশন করা হয়, এটি পেটকে প্রশমিত করতে বিস্ময়করভাবে কাজ করতে পারে। বাটারমিল্ক খেলে তা কেবল আপনার শরীরকে শীতল করে না বরং আপনার বিপাককেও উন্নত করে। এই প্রোবায়োটিক–সমৃদ্ধ পানীয় প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং খনিজের একটি সমৃদ্ধ উৎস যা আপনার শরীরকে শক্তি জোগায় এবং পেটের তাপ থেকে মুক্তি দেয়।
শসা: শসা উচ্চ জলীয় উপাদান এবং পুষ্টি সমৃদ্ধ একটি সবজি। এটি পেট গরম হলে তা ঠান্ডা করার জন্য দুর্দান্ত কাজ করে। শসা ফাইবার সমৃদ্ধ, যা হজমে উন্নতি করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে। শসা খেলে তা সব সময় আপনার শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে কাজ করে।
জিরা: জিরায় প্রাকৃতিক অ্যান্টিফাঙ্গাল এবং অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যা পেট খারাপ ভালো করতে সাহায্য করতে পারে। এজন্য শুকনো একটি প্যানে এক চা চামচ জিরা ভাজুন এবং গুঁড়ো করে নিন। এক কাপ পানিতে ওই পাউডার মিশিয়ে দিনে ২ থেকে ৩ বার পান করুন।
আদা চা: আদার প্রাকৃতিক অ্যান্টি–ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যা পরিপাকতন্ত্রকে প্রশমিত করতে এবং পেট খারাপ কমাতে সাহায্য করতে পারে।
এসএ/দীপ্ত সংবাদ