ফেনী সদর উপজেলার ধর্মপুরে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত মো. হাসান (২৭) নামে এক মাদক কারবারীকে গ্রেপ্তার করতে গেলে পুলিশের উপর হামলা চালিয়েছে অন্যান্য মাদক কারবারীরা।
সোমবার (১৮ মার্চ) বিকালে ধর্মপুরের পশ্চিম পদুয়ার দুলামিয়া সড়কের মেম্বার বাড়ীতে এ ঘটনা ঘটে।
তাদের হামলায় ফেনী মডেল থানার এএসআই অরুপ বড়ুয়া ও কনস্টেবল সোহেল চৌধুরী আহত হয়েছেন বলে থানায় দায়ের করা মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
এ ঘটনায় এএসআই অরুপ বড়ুয়া বাদী হয়ে মাদক কারবারী মো. হাসান (২৭) কে প্রধান করে ৯ জনের নামোল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও ৪–৫ জনকে আসামী করে মঙ্গলবার থানায় মামলা করেছেন।
মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, দায়িত্ব পেয়ে সোমবার বিকালে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী মো. হাসানকে গ্রেপ্তার করতে পশ্চিম পদুয়া সাকিনের মিয়া মেম্বার বাড়ীতে সিএনজি অটোরিকশাযোগ যান এএসআই অরুপ বড়ুয়া ও কনস্টেবল সোহেল চৌধুরী। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ঘরের ছাদের সিলিংয়ে লুকানোর সময় মো. হাসানকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করেন তারা। এসময় হাসানের চিৎকারে ৪–৫ জন মাদক কারবারী একত্রিত হয়ে পুলিশের কাছ থেকে হাসানকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। পুলিশ এতে বাধা দিলে মাদক কারবারীরা একত্রিত হয়ে পুলিশের উপর হামলা চালায়। মো. হাসান তার ঘরে থাকা এসএস পাইপ দিয়া এএসআই অরুপ বড়ুয়ার মাথায় আঘাত করার চেষ্টা করলে তিনি বাম হাত দিয়ে তা প্রতিহত করতে গেলে সেখানে গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়।
এছাড়া কনস্টেবল সোহেল চৌধুরীকেও তারা এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করেছেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসেন। অতিরিক্ত পুলিশ এলে তারা পালিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশের ব্যবহৃত সিএনজি অটোরিকশাটি ভাংচুর করে। এ ঘটনায় জড়িত মাদক কারবারী হাসানকে ১ নম্বর আসামী করে ৯ জনের নামোল্লেখে ও অজ্ঞাত ৪–৫ জনকে আসামী করে থানায় মামলা করেন এএসআই অরুপ বড়ুয়া।
থানা সূত্রে জানা গেছে, মো. হাসান একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে ফেনী মডেল থানায় মাদক আইনে ১১টি মামলা রয়েছে।
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
মামুন / আল / দীপ্ত সংবাদ