আজ শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) পিলখানা হত্যাকান্ড দিবস। ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি পিলখানা হত্যাযজ্ঞের ঘটনা ঘটে। নির্মমভাবে মৃত্যু হয় অর্ধশতের বেশি বিডিআরে নিযুক্ত সেনা কর্মকর্তাসহ ১৭ বেসামরিক নাগরিকে।
বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় আসামি বেশি হওয়ায় বিচার কার্যক্রম বিলম্বিত হচ্ছে। হত্যা মামলায় খালাস পেলেও বিস্ফোরক মামলার কারণে মুক্তি পাচ্ছেন না অন্তত পাঁচশো জন। ২০০৯ সালে বিডিআর বিদ্রোহের পর গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্য মইনুল ইসলাম জানান, বিদ্রোহের নেপথ্যের কারণ খুঁজে পাওয়া যায়নি।
বিদ্রোহের পর সাবেক এই বিডিআর প্রধানের হাতেই গঠিত হয় বিজিবি। পরিবর্তন আসে বাহিনীর পোশাক ও আইনেও। তার মতে, জোয়ানদের আস্থায় ফিরিয়ে আনা ছিল বড় চ্যালেঞ্জ।
বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় দুইটি ফৌজদারী মামলা হয়। হত্যা মামলাটির বিচারিক আদালত ও হাইকোর্টে বিচার শেষ হয়েছে। হাইকোর্টের রায় মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় ১৩৯ জনকে, যাবজ্জীবন ১৮৫ জন এবং বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয় ২০০ জনকে।
এখন চূড়ান্ত নিস্পত্তির অপেক্ষায় আছে আপিল বিভাগ। এ মামলায় খালাস পাওয়া ও সাজার মেয়াদ শেষ হয়েছে পাঁচ শতাধিক ব্যক্তির। তবে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলা সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে থাকায় তাদের মুক্তি মেলেনি। বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় সাক্ষী রাখা হয়েছে প্রায় ১৪শ জনকে।
এফএম/দীপ্ত সংবাদ