রাজধানী পিলখানায় সংঘটিত বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আওয়ামী লীগের পলাতক দুই নেতা ই–মেইলে জবানবন্দি দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন এ–সংক্রান্ত গঠিত ‘জাতীয় স্বাধীন তদন্ত’ কমিশন সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) আ ল ম ফজলুর রহমান।
তারা হলেন– আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এবং সাবেক মন্ত্রী মির্জা আজম।
বুধবার (২৫ জুন) রাজধানী সায়েন্স ল্যাবরেটরি‘র বিআরআইসিএম নতুন ভবনে ‘জাতীয় স্বাধীন তদন্ত’ কমিশনের তৃতীয় সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
আ ল ম ফজলুর রহমান বলেন, ৮ জন সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তির জবানবন্দি নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৩ জনের সাক্ষাৎকার নেয়া হয়েছে জেলে। তিনজন উপস্থিত হয়ে সাক্ষ্য দিয়েছেন। আর পলাতক আ. লীগ সভাপতিমণ্ডলী সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আ. লীগ কেন্দ্রীয় কমিটি সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক মন্ত্রী মির্জা আজম ই–মেইলে জবানবন্দি দিয়েছেন।
তদন্তের অগ্রগতি বিষয়ে তিনি বলেন, পিলখানা হত্যাকাণ্ডে এরই মধ্যে ১৫৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। বাকি ৫০ জনের সাক্ষ্য এখনও বাকি। এ ছাড়া শেখ হাসিনা, মেজর জেনারেল তারিক আহমেদ সিদ্দিক, ফজলে নূর তাপস, শেখ সেলিমসহ ১৪ জনকে সাক্ষ্য দেয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।
কমিশন সভাপতি আরও বলেন, পিলখানা হত্যাকাণ্ডে তৎকালীন তদন্ত কমিটি চরম অবহেলা করেছে। গণমাধ্যমও বিষয়টি ভিন্নখাতে নেয়ার কাজ করেছে। সময়মতো সামরিক ব্যবস্থা নেয়া হলে হত্যাকাণ্ড কমানো যেত।
সাক্ষ্যগ্রহণ এবং কিছু বিদেশি ও সংস্থার কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ বাকি থাকায় আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় বাড়ানোর অনুরোধ করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন কমিশন সভাপতি আ ল ম ফজলুর রহমান।
এসএ