পিরোজপুরে বর্ণিল আয়োজনে একশো এক ধরনের দেশীয় ফল–পিঠা দিয়ে বর্ষবরণ করা হয়েছে।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকালে বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা শেষে পিরোজপুর শহরের গোপালকৃষ্ণ ডাউন ক্লাব মাঠে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী বন্ধু ফোরাম এর আয়োজনে এ উৎসব পালন করা হয়।
বর্ষবরণে বাঙালি আপ্যায়ন নামে ব্যতিক্রমি এ আয়োজনে শিশু–কিশোর সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ অংশ নেয়।
বর্ণিল এ বর্ষবরণে বাঙালি আপ্যায়ন অনুষ্ঠানে অংশ নিতে লাল, সবুজ, কমলা ও হলুদসহ নানা রঙের পোশাকে সেজেছেন সবাই। পুরুষেরা পাঞ্জাবি, নারীরা শাড়ি মাথায় ফুলের মালা, হাতে রঙিন চুড়ি এবং শিশুদের মুখে উচ্ছ্বাস–সব মিলিয়ে ছিল প্রাণবন্ত পরিবেশ।
সরেজমিনে দেখা যায়, পিরোজপুরের গোপালকৃষ্ণ টাউন ক্লাব মাঠ প্রাঙ্গণ ছিল উৎসবের রঙে রাঙানো। দুধকুলি, ক্ষীরকুলি, তিলকুলি, পাটিসাপটা, ফুলঝুড়ি, ধুপি পিঠা, নকশি পিঠা, মালাই পিঠা, মালপোয়া, পাকন পিঠা, ঝাল পিঠাসহ ২৫ ধরনের পিঠা, কয়েক জাতের কলা, আনারস, পেপে, পেচি গাব, ডুমুর ফল, কাঠাল, চালতা, আতা, সফেদা, বেতফল, টকফলসহ ৪৫ ধরনের ফল, চমচম, রসগোল্লা, রসমালাই, কালজামসহ ২০ ধরনের মিষ্টান্ন, বেলের রস, তালের রস, খেজুরের রস সহ ১১ ধরনের শরবতের পসেরা সাজিয়ে বসেছে আয়োজকরা। অতিথিরা হাতে মাটির বাসন নিয়ে তাদের পছন্দ সই খাবার বেছে নিচ্ছেন এবং নির্দিষ্ট আসনে বসে এসব ফল পিঠা মিষ্টান্ন খাচ্ছেন।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী বন্ধু ফোরামের আহ্বায়ক এস এম ছাইদুল ইসলাম কিসমত বলেন, আমরা জাতীয়তাবাদী বন্ধু ফোরামের সদস্যরা একটি ভিন্ন আঙ্গিকে এবছর বাংলা নববর্ষ উদযাপন করেছি। আমরা আপামর বাংলার ঐতিহ্যকে ধরে রাখার জন্য ১০১ ধরনের বাঙালির ঐতিহ্যবাহী খাবার অতিথিদের আপ্যায়নের মাধ্যমে এ উৎসব পালন করেছি। প্রতিবছর আমরা এমন ব্যতিক্রমী আয়োজন করতে চাই আগামীতে আমরা আরো ব্যতিক্রমী আয়োজন করতে পারব বলে প্রত্যাশা করি।
জাতীয়তাবাদী বন্ধু ফোরাম এর আহ্বায়ক এস এম ছাইদুল ইসলাম কিসমত এর সভাপতিত্বে বর্ষবরণে বাঙালি আপ্যায়ন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক মো. আশরাফুল আলম খান, বিশেষ অতিথি ছিলেন পিরোজপুর জেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন।
কবির/আল