মুন্সীগঞ্জের লঞ্চঘাটে যাত্রাবিরতি করা একটি পিকনিকের লঞ্চে আসা নারীদের প্রকাশ্যে মারধর করা হয়েছে। এসময় ওই যাত্রীদের কাছ থেকে টাকা পয়সা ও ফোন লুটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটির ভিডিও নেট দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে।
শনিবার (১০ মে) দুপুর ২টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অপরাধ প্রশাসন মো. ফিরোজ কবির এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে শুক্রবার ৮ টার দিকে মুন্সীগঞ্জ লঞ্চঘাটে এ ঘটনা ঘটে।
ভাইরাল হওয়া ভিডিও দেখা গেছে, লঞ্চের কেবিন থেকে দুজন নারীকে জোড় করে ধরে নিয়ে লঞ্চের একেবারে সামনের অংশে উঠিয়ে বেল্ট দিয়ে বেপরোয়াভাবে পেটাচ্ছেন মুন্সীগঞ্জ শহরের নেহাল আহমেদ জিহাদ। এ সময় ৫০–৬০ জন বিভিন্ন বয়সী পুরুষ সেই দৃশ্য তাদের ফোনে ধারণ করে উল্লাস করছেন ও বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভিডিওতে মারধর করতে থাকা নেহাল আহমেদ জিহাদ বলেন, ‘স্থানীয় ২–৩’শ লোক তাদের আচরণ ও বেশভূষায় ক্ষিপ্ত হয়ে আক্রমণ করতে চলে আসে। ভাই হিসাবে শাসন করেছি। এটা আমার করা উচিত হয়নি। এটা না করলে মানুষজন নারীদের জামাকাপড় টেনে খুলে ফেলতো।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পাওয়া এ ঘটনার একাধিক ভিডিওতে আরও দেখা যায়, থেমে থামুন্সীগঞ্জেমুন্সীগঞ্জেমুন্সীগঞ্জে_কা লঞ্চের দ্বিতীয় তলায় উঠে গণহারে অপ্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ যাত্রীদের পেটাচ্ছেন ১০–১৫ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল। এসময় তারা লঞ্চের কেবিনগুলোতে তল্লাশি চালাচ্ছেন এবং দরজা ভাঙার চেষ্টা করছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নৌ ভ্রমণে বের হয়ে আক্রমণের শিকার ‘এমভি ক্যাপ্টেন’ নামের লঞ্চটিতে পিকনিকের উদ্দেশ্যে আসা অন্তত ৬ যাত্রী মারধরে আহত হন। এর মধ্যে দুজন অপ্রাপ্তবয়স্ক নারী। তবে, তাদের নাম–পরিচয় জানা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, তারা সবাই ঢাকার কামরাঙ্গীচরের বাসিন্দা।
এছাড়া লঞ্চটিতে অন্তত ৩০০ সাধারণ যাত্রী ছিলেন। তাদের সঙ্গে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটলেও স্থানীয়দের উত্তেজনা দেখে তারাও আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
মুন্সীগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইফুল আলম জানান, সন্ধ্যার নাস্তা কেনার জন্য ৮–১০ জন যাত্রী লঞ্চ থেকে পল্টুনে নামে। সেমুন্সীগঞ্জেমুন্সীগঞ্জে_খানে থাকা স্থানীয়রা মাদকসেবী সন্দেহ করে তাদের পিছু নিয়ে লঞ্চে উঠার চেষ্টা_ করলে লঞ্চের ম্যানেজার মো. শফিক তাদের প্রবেশে বাঁধা দেয়। এতে উত্তেজিত লোকজন জড়ো হয়ে লঞ্চে ঢুকে ভাঙচুর, লুট ও যাত্রীদের মারপিট করেন। পরে খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে উত্তেজনা কমে আসে।’