চৈত্রসংক্রান্তি ও পয়লা বৈশাখকে ঘিরে পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর শুরু হয়েছে নানা আয়োজন। চৈত্রসংক্রান্তি উপলক্ষে ঘরে ঘরে চলছে পাঁচন রান্নার আয়োজন।
বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) বৈসাবির দ্বিতীয় দিনে অতিথি আপ্যায়নের জন্য পাঁচন রান্নার আয়োজন হয়।
পাঁচন মূলত পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর খাবার। যেটি পাহাড়িদের কাছে পাঁজন নামে পরিচিত।মূলত নানা পদের শাকসবজি ও ফলের সংমিশ্রণে রান্না হয় পাঁজন। কাঁচা কাঁঠাল, ডুমুর, বেগুন, মুলা, পটোল, গাজর, লাউ, করলা, টমেটো, কাঁকরোল, বরবটি, ঢ্যাঁড়স, কচুমুখি, পেঁপে, শসা, কুমড়া, আলু, কলাগাছের ভেতরের কাণ্ড, শজনে, কাঁচা আম, কাঁচা কলা, লাউশাক, কচুর লতি, পুঁইশাক, কলমিশাকসহ নানা পদ ব্যবহার করে রান্না হয় পাঁচন।
ক্ষুদ্র নৃ–গোষ্ঠীর মানুষের ধারণা, টক –ঝাল মিষ্টি বিভিন্ন প্রকারের তরকারির মিশ্রিত এই পাঁচন বছরের শেষ বা প্রথম দিনে খেলে বিভিন্ন প্রকারের রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
রাঙামাটি ত্রিপুরা কল্যাণ ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা প্রহেলিকা ত্রিপুরা জানান, পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সবচেয়ে বড় সামাজিক উৎসব বৈসাবির দ্বিতীয় দিনে আজ সকাল থেকেই পাহাড়িরা প্রায় ১২০–১৫০ প্রকার বিভিন্ন সবজি দিয়েই তাদের ঐতিহ্যবাহী পাঁজন খাবার রান্নার আয়োজন করে। তবে কালের বিবর্তনে সব সবজি এখন পাওয়া না গেলেও যতটুকু পাওয়া যায় তাই দিয়েই চলে পাঁজন রান্নার আয়োজন।
মিশু দে/ইএ