যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে পারমাণবিক যুদ্ধের জন্য দেশের সশস্ত্র বাহিনীকে প্রস্তুতি নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন। দেশ দুটি পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করে যৌথ সামরিক মহড়া চালাচ্ছে এমন অভিযোগ এনে এ নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
গত শনি ও রোববার (১৮ ও ১৯ মার্চ) ‘যুদ্ধ প্রতিরোধ এবং পাল্টা পারমাণবিক আক্রমণের সক্ষমতা’ জোরদারে মহড়া চালায় উত্তর কোরিয়ার সশস্ত্রবাহিনী। মহড়ার শেষ দিনে কিম জং উনের পক্ষ থেকে এ নির্দেশ আসে। দেশটির সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ–এর বরাত দিয়ে রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
বিশ্লেষকদের ধারণা, যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়াকে হুমকি দিতেই এ নির্দেশ দিয়েছেন কিম।
একটি কৌশলগত পারমাণবিক হামলার মহড়ায় ৮০০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম এমন ওয়ারহেড দিয়ে সজ্জিত একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ৮০০ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করে। কিম নিজে ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে মহড়া প্রত্যক্ষ করেন।
মহড়া পরিদর্শন করতে গিয়ে কিম বলেন, ‘এ মহড়া সামরিক বাহিনীর প্রকৃত যুদ্ধের সক্ষমতাকে উন্নত করেছে এবং তা যেকোনো তাৎক্ষণিক এবং অপ্রতিরোধ্য পারমাণবিক পাল্টা আক্রমণের জন্য প্রস্তুতির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে।’
কিম আরও বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে শত্রুরা আগের চেয়ে অনেক বেশি খোলাখুলি উত্তর কোরিয়াকে হুমকি দিচ্ছে। তাই জরুরি ভিত্তিতে অতি দ্রুত পারমাণবিক যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে হবে।’
উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক বাহিনী তার উচ্চ যুদ্ধ প্রস্তুতির মাধ্যমে শত্রুর বেপরোয়া পদক্ষেপ এবং উস্কানিকে দৃঢ়ভাবে প্রতিরোধ করবে এবং নিয়ন্ত্রণ করবে। এ ছাড়া যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিতে দ্বিধা ছাড়াই গুরুত্বপূর্ণ মিশন পরিচালনা করবে।’
আফ/দীপ্ত সংবাদ