কিশোরগঞ্জ পৌর শহরের নরসুন্দা নদীর তীরে অবস্থিত ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদ দানবাক্স খোলা হয়েছে।
সাধারণত ৩ মাস পর পর খোলা হলেও এবার ৪ মাস ১৮ দিন পর শনিবার (৩০ আগস্ট) সকাল ৭টায় ১০টি দান বাক্স ও ৩টি সিন্দুক থেকে ৩২ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে। সঙ্গে পাওয়া গেছে বৈদেশিক মুদ্রা ও সোনার গয়না। এখন চলছে গণনা।
কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ কমিটি সভাপতি ফৌজিয়া খান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
টাকা গণনা কাজে কিশোরগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মিজাবে রহমত, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) জেসমিন আক্তার, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) কামরুল হাসান মারুফ, রূপালী ব্যাংক সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) মোহাম্মদ আলী হারেছীসহ ২২০ জন ঐতিহাসিক জামিয়া ইমদাদিয়া মাদ্রাসা ছাত্র, ১২০ জন পাগলা মসজিদ নুরুল কোরআন হাফিজিয়া মাদ্রাসা ছাত্র, ১০০ জন ব্যাংক স্টাফ, ৩৪ জন মসজিদ কমিটি ও ২০ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্য অংশ নিয়েছেন।
দানবাক্স খোলার কার্যক্রম তত্ত্বাবধান করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এরশাদুল আহমেদ।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক ও মসজিদ পরিচালনা কমিটি সভাপতি ফৌজিয়া খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মিজাবে রহমত, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী এবং জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির অধ্যাপক মো. রমজান আলী।
এর আগে, ৪ মাস ১২ দিন পর চলতি বছরের ১২ এপ্রিল পাগলা মসজিদের দানবাক্সগুলো খুলে রেকর্ড ৯ কোটি ১৭ লাখ ৮০ হাজার ৬৮৭ টাকা পাওয়া যায়।
এসএ