পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর সাম্প্রতিক হামলার ঘটনায় দেশটির রাজনৈতিক মহলে এক ধরনের ঐকমত্য লক্ষ্য করা গেছে। ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস ও ক্ষমতাসীন বিজেপির শীর্ষ নেতারা সেনাবাহিনীর এই অভিযানের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন। একে একে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন রাহুল গান্ধী, মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
ভারতের প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি ও বর্তমান সাংসদ রাহুল গান্ধী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (পূর্বে টুইটার) এক সংক্ষিপ্ত বার্তায় বলেন, “আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর জন্য গর্বিত। জয় হিন্দ!” তার এই প্রতিক্রিয়ায় সেনাবাহিনীর প্রতি সমর্থনের বার্তা স্পষ্ট।
এদিকে রাজ্যসভার বিরোধীদলীয় নেতা এবং কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, “আমরা আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর দৃঢ় সংকল্প ও সাহসের প্রশংসা করি। পহেলগামে হামলার পর থেকেই কংগ্রেস সীমান্তবর্তী সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যে কোনো সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপে সরকারের পাশে রয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “জাতীয় ঐক্য ও সংহতি এখন সময়ের দাবি। কংগ্রেস অতীতেও পথ দেখিয়েছে, এখনো জাতীয় স্বার্থকেই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়।”
ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ‘অপারেশন সিন্দুর’–এর উল্লেখ করেন। এক্সে পোস্ট করা এক বার্তায় তিনি বলেন, “পহেলগামে আমাদের নিরীহ ভাইদের নৃশংস হত্যার প্রতিক্রিয়া হলো অপারেশন সিন্দুর। মোদি সরকার দেশের জনগণ ও ভূখণ্ডের নিরাপত্তায় যে কোনো আক্রমণের জবাব দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ভারত সন্ত্রাসবাদের মূলোচ্ছেদে অটল।”
প্রসঙ্গত, ৬ মে রাতে ভারতীয় বাহিনী পাকিস্তানের ছয়টি স্থানে হামলা চালায়। এর জবাবে রাতেই পাল্টা হামলা চালায় পাকিস্তান। এর আগে কাশ্মীরের পহেলগামে পর্যটকবাহী একটি বাসে হামলায় অন্তত ২৬ জন নিহত হয়, যা দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনার বিস্ফোরণ ঘটায়।
এই ঘটনায় আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। চীন ও তুরস্ক ইতোমধ্যে দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে এবং কূটনৈতিক সংলাপের ওপর জোর দিয়েছে।