পবিত্র ঈদুল আজহার আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। এরই মধ্যে রাজধানীর কোরবানির পশুর হাটগুলোতে জমে উঠেছে বেচাকেনা। বিশেষ করে ছোট ও মাঝারি আকারের গরুর প্রতি ক্রেতাদের আগ্রহ বেশি, ফলে তুলনামূলকভাবে এসব পশুর দাম কিছুটা বেশি হলেও বড় গরুর দাম রয়েছে ক্রয়ক্ষমতার মধ্যেই।
ঢাকার গাবতলী, বসুন্ধরা, বালু খালপাড়, মোহাম্মদপুর বসিলা ও শনিরআখড়া হাটে ঘুরে দেখা গেছে, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ব্যাপারীরা গরু, ছাগল, ভেড়া ও মহিষ নিয়ে হাটে এসেছেন। বাড়ছে ক্রেতা ও দর্শণার্থীর সংখ্যা। বেশিরভাগ বিক্রেতা জানিয়েছেন, মূল বেচাকেনা হবে বৃহস্পতিবার (৫ জুন) ও শুক্রবার (৬ জুন)। অনেকেই পশু দেখে বুকিং দিচ্ছেন, কেউবা কিনে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছেন।
পাবনা থেকে গাবতলী হাটে আসা বিক্রেতা মোকাব্বের হোসেন জানান, ছোট ও মাঝারি গরুর চাহিদা ভালো। দামও ভালো। কাল–পরশু বেচাকেনা জমে উঠবে বলে আশা করছি। ভালো দামে বিক্রি করতে পারলে হাসিমুখে বাড়ি ফিরব।
ক্রেতারা বলছেন, ছোট ও মাঝারি গরুর দাম গত বছরের তুলনায় বেশি। তবে বড় গরুর দাম তুলনামূলক কম। ফাহিম ইসলাম এক ক্রেতা বলেন, ‘আমি ১ লাখ ২০ হাজার টাকা বাজেট নিয়ে এসেছি। মাঝারি গরু নিতে চাচ্ছি, কিন্তু আর একটু বাজেট বাড়ালেই বড় গরুও পাওয়া যাচ্ছে। তবে অন্যান্য সুবিধার কথা বিবেচনা করে ছোটটাই নিচ্ছি।‘
বেশিরভাগ ক্রেতা–বিক্রেতা পশু কেনা–বেচায় সন্তুষ্ট থাকলেও কেউ কেউ অতিরিক্ত হাসিল আদায়ের অভিযোগ করেছেন। এছাড়া কিছু এলাকায় জলাবদ্ধতা ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সমস্যা আছে বলে অভিযোগ তুলেছেন ক্রেতারা।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন সূত্রে জানায়, হাটে স্বাস্থ্যকর্মী, পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা রয়েছে। নিয়মিত মনিটর করা হচ্ছে, কোথাও সমস্যা হলে সঙ্গে সঙ্গে সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।
রাজধানীর সব হাটেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী টহল জোরদার করেছে। মোতায়েন রয়েছে পুলিশ, র্যাব ও আনসার সদস্যরা। সিসিটিভি ক্যামেরা ও কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত বড় কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেনি।
এ বছর ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে ২১টি অনুমোদিত পশুর হাট বসানো হয়েছে।