চাকরি বৈষম্য দূরীকরণ ও হয়রানিমূলক পদক্ষেপ বন্ধসহ ৪ দফা দাবিতে রোববার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য গণছুটির ঘোষণা দিয়েছেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা–কর্মচারীরা। শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচির ঘোষণা করেন পল্লী বিদ্যুৎ অ্যাসোসিয়েশনের সহ–দপ্তর সম্পাদক অঞ্জু রানী মালাকার।
এ সময় তিনি অভিযোগ করেন, একাধিকবার কমিটি গঠনসহ সংকট সমাধানে সরকারের পক্ষ থেকে নানামুখী আশ্বাস দেওয়া হলেও কিছুই বাস্তবায়ন করেনি বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়। উপরন্তু আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তা–কর্মচারীদের চাকরিচ্যুতি, বদলি, বরখাস্তসহ নানা শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নিয়ে হয়রানি করছে। ফলে পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তা–কর্মচারীদের মধ্যে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে।
অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত ও বরখাস্তকৃত কর্মকর্তা–কর্মচারীদের বরখাস্ত আদেশ বাতিল এবং পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা কর্মচারীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ও আইনগত ব্যবস্থা নেয়ারও দাবি জানান তারা। এসময় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
তাদের চার দফা দাবিগুলো হলো—
১. আরইবি–পিবিএস একীভূতকরণ অথবা অন্যান্য বিতরণ সংস্থার ন্যায় কম্পানি গঠনের প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে এবং সব চুক্তিভিত্তিক/অনিয়মিত (মিটার রিডার কাম মেসেঞ্জার, লাইন শ্রমিক ও পৌষ্য বিলিং সহকারী) কর্মীদের নিয়মিতকরণ, মামলা প্রত্যাহার করে চাকরিচ্যুতদের স্বপদে পুনর্বহাল, সব সংযুক্ত ও সাময়িক বরখাস্ত করা এবং অন্যায়ভাবে বদলি করা কর্মকর্তা–কর্মচারীদের পদায়ন বিষয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের গঠিত কমিটির প্রতিবেদন দাখিল করে বাস্তবায়নের করতে হবে।
২. ১৭ আগস্ট থেকে অদ্যাবধি হয়রানিমূলকভাবে চাকরিচ্যুত, বরখাস্ত করা ও সংযুক্ত কর্মকর্তা–কর্মচারীদের বরখাস্ত আদেশ বাতিল করে আগের কর্মস্থলে পদায়ন করতে হবে।
৩. জরুরি সেবায় নিয়োজিত লাইনক্রুদের কর্মঘণ্টা নির্ধারণ এবং শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচিকালীন যোগদান করতে না পারা পাঁচজন লাইনক্রুকে আগের কর্মস্থলে যোগদানের ব্যবস্থা করতে হবে।
৪. পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা–কর্মচারীদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে হবে।