পরীমণি নিজের ফেসবুকে লেখেন, ‘আমি আজ রাজকে আমার জীবন থেকে ছুটি দিয়ে দিলাম এবং নিজেকেও একটা অসুস্থ সম্পর্ক থেকে মুক্ত করলাম। জীবনে সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকার তুলনায় জরুরি আর কিছু নেই।’
পরীমণির স্ট্যাটাস দেখে নিজের অতীত জীবনে ফিরে গেলেন তসলিমা নাসরিন।
তিনি ফেসবুক স্ট্যাটাসে লেখেন, ‘পরীমণির জীবনটা অনেকটা আমার জীবনের মতো। মানুষকে ভালোবাসে, বিশ্বাস করে, আঘাত পায়, কাঁদে, সরে আসে, আবার বিশ্বাস করে, আবার আঘাত পায়, আবার কাঁদে, আবার সরে আসে, আবার বিশ্বাস করে…। এ যেন একটা চক্রের মতো। সৎ, সরল এবং সংবেদনশীল মানুষই এই চক্রের মধ্যে পড়ে যায়।’
‘পরীমণি নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছে। ও যদি মাথা উঁচু করে, মেরুদণ্ড সোজা করে একা বাঁচতে না পারে, তবে আর পারবে কে? আমি পেরেছি। আরও অনেকেই পেরেছে। নিজেকে ভালোবাসলে পারা যায়। আমাদের তো এই দোষ, আমরা নিজেকে ভালোবাসি না। জগতের আর কোনো প্রাণী নয়, এই আমরা মেয়েরাই আমাদের আততায়ীকে ভালোবেসে তার সঙ্গে এক ঘরে, এক ছাদের তলায় বাস করি!’
এর আগে, বোট ক্লাব কাণ্ডের সময়ও পরীমণির পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তসলিমা নাসরিন। ওই ঘটনায় তখনও পরীমণির পক্ষে বেশ সরব থাকতে দেখা যায় তসলিমা নাসরিনকে।