কথায় আছে মর্নিং শোজ দ্যা ডে। ফাট উইকেটে টস জিতে যে চওড়া হাসিটা দিয়েছিলেন সাকিব, সতীর্থ ব্যাটারদের একের পর এক ব্যর্থতায় তা দ্রুত উবে যায়।
ব্যাটারদের ব্যর্থতায় পরাজয় দিয়ে এশিয়া কাপ শুরু করলো বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তাদের হার ৫ উইকেটের ব্যবধানে। আগামী রবিবার নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তানের লাহোরে আফগানিস্তানের মুখোমুখি হবে সাকিবরা।
তানজিদ তামিমের কাছে প্রত্যাশা ছিল অনেক। কিন্তু তার শূন্য রানের আউটে শুরু হয় ব্যাটিং বিপর্যয়। এরপর, নাঈম–সাকিবের বিদায়ে দলীয় ৩৬ রানেই ৩ উইকেট হারায় টাইগাররা।
কোনঠাসা অবস্থা থেকে দলকে বের করার চেষ্টা করেন নাজমুল শান্ত ও তাওহিদ হৃদয়। গড়েন ৫৯ রানের জুটি। কিন্তু, ব্যক্তিগত ২০ রানে হৃদয় ফিরে গেলে, আবার ধস নামে বাংলাদেশ শিবিরে। দলের বিপর্যয়ে অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম, যেভাবে আউট হয়েছেন তাতে বোঝাই যায়, ক্যারিয়ারের প্রায় শেষ সময়ে, সত্যি ক্লান্ত তিনি। আর মিরাজের রান আউট ছিল হাস্যকর।
ম্যাচে দু‘বার জীবন পাওয়া, শান্ত ছিলেন একেবারেই ভিন্ন। দ্বিতীয় শতক থেকে মাত্র ১১ রান দূরে থাকতে তার বিদায়ে কিছুটা আক্ষেপ থাকলেও, দল অন্তত দেড়শো পাড়ি দেওয়ার স্বস্তির ঢেকুর তোলে।
১৬৫ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়া করে, তাসকিন–শরিফুলের শিকার হন নিসাঙ্কা ও করুনারত্নে। কুশাল মেন্ডিসকে ফেরান সাকিব। তবে চতুর্থ উইকেটে সামারাবিক্রমা–আসালাঙ্কা‘র ৭৮ রানের জুটিতে জয়ের ভিত মজবুত হয় শ্রীলঙ্কার। ক্যারিয়ারে চতুর্থ ফিফটি করা সামারাবিক্রমাকে ফেরান মাহেদী হাসান। ধনাঞ্জয়াকে ফিরিয়ে সাকিবের শিকার দুই উইকেট।
লঙ্কানদের জয়ের শেষটা রাঙান আশালাঙ্কা। তার নবম অর্ধশতকে জয় পেতে আর কোনো সমস্যা হয়নি স্বাগতিকদের।
এসএ/দীপ্ত নিউজ