পদ্মা সেতু নির্মাণের উদ্দেশ্যে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের ওপর আরোপিত ১ শতাংশ সারচার্জ কেন বন্ধ হবে না, তা জানতে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
ভোক্তা অধিকার সংস্থা ‘কনশাস কনজ্যুমার্স সোসাইটি’ (সিসিএস)’এর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার (১৮ আগস্ট) হাইকোর্টের বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি মো. হামিদুর রহমানের বেঞ্চ এই রুল জারি করেন। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাগুলোকে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিট আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ কে এম আজাদ হোসেন।
এর আগে গত ১০ জুলাই সিসিএসের পক্ষ থেকে রিট আবেদন করা হয়। এতে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালে মোবাইল ব্যবহারকারীদের ওপর সারচার্জ আরোপ করা হয় এবং তা এখনো চলমান। এই সময়ে ভোক্তা থেকে সারচার্জের মাধ্যমে ২ হাজার কোটি টাকার বেশি আদায় করা হয়েছে।
সিসিএসের নোটিশে উল্লেখ করা হয়, পদ্মা সেতু ২০২২ সালে উদ্বোধন হলেও মোবাইল সারচার্জ বন্ধ করা হয়নি। ২০১৫ সালে ‘উন্নয়ন সারচার্জ ও লেভি (আরোপ ও আদায়) আইন’ প্রণয়ন করা হয়। ২০১৬ সালের ১০ মার্চ অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ থেকে জারি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সারচার্জ আদায় শুরু হলেও, আইনের ৪নং ধারার নিয়ম অনুযায়ী নির্দিষ্ট মেয়াদ উল্লেখ করা হয়নি। ফলে, নির্দিষ্ট মেয়াদ ছাড়া সারচার্জ আদায় চলায় ভোক্তার স্বার্থ ক্ষুণ্ন হচ্ছে এবং তা আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।