নোয়াখালীতে বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে দুই দালালকে আটক করেছে র্যাব। এ সময় লাইসেন্স, পরিবেশ ছাড়পত্র ও অন্যান্য কাগজপত্র হালনাগাদ না থাকা, মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি, প্রয়োজনীয় সংখ্যক চিকিৎসক ও নার্স না থাকায় তিনটি হাসপাতালকে সাড়ে তিন লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) সকাল ১০টা থেকে দুপুর পর্যন্ত এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
র্যাব–১১, সিপিসি–৩, নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার লে. কমান্ডার মাহমুদুল হাসানের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত দাশ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. সোহরাব হোসেন।
অভিযানে নোয়াখালী ইউনাইটেড হাসপাতালের চেয়ারম্যান নূর নবী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমজাদ হোসেনকে দু্ই লাখ টাকা, মুন হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শহিদুল ইসলামকে এক লাখ টাকা ও আদর হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই সময় মুন হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার প্রলোভন দেখিয়ে রোগী ভর্তি করাতে আসা দুই দালালকে আটক করা হয়।
জানা গেছে, নোয়াখালীতে প্রায় পাঁচ শতাধিক বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক রয়েছে; যার অধিকাংশই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে তাদের ব্যবসা করে আসছে। এসব প্রতিষ্ঠান থেকে বিভিন্ন সময় চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা ভুল চিকিৎসাসহ নানা হয়রানির শিকার হন- এমন অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. সোহরাব হোসেন বলেন, ‘বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক পরিচালনা করার জন্য সরকারের সুনির্দিষ্ট কিছু নিয়মনীতি আছে। এসব নিয়মের তোয়াক্কা না করেই অনেকে তাদের প্রতিষ্ঠান চালিয়ে যাচ্ছেন। তারা প্রয়োজনীয় ডাক্তার ও নার্সসহ অন্যান্য জনবল নিয়োগ দেন না। অনেকে হাসপাতাল ও ক্লিনিকের কাগজপত্র হালনাগাদ করছেন না। এসব তথ্যে ভিত্তিতে পরিচালিত অভিযানে আজ প্রতিষ্ঠানগুলোকে জরিমানা করা হয়েছে।’
এ.এস.এম.নাসিম/ পূর্ণিমা/ দীপ্ত সংবাদ