নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনীর লাইফ কেয়ার হাসপাতালের প্যাথলজিক ল্যাব টেকনিশিয়ান দৌলতউজ্জামান জয়কে (৩২) হত্যা মামলায় তিন আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
একইসাথে আসামিদের প্রত্যেককে ৫০হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। এ মামলায় খালাস দেওয়া হয়েছে বেলাল হোসেন (৫৩) নামের অপর এক আসামিকে।
সোমবার (১২ জুন) বিকেলে শুনানি শেষে এর রায় প্রদান করেন, সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ নিলুফার সুলতানা। ঘটনার পর আসামিরা পালিয়ে যাওয়ায় তাদের গ্রেপ্তার করা যায়নি। তাই আসামিদের অনুপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করা হয়।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, চৌমুহনী পৌরসভার হাজীপুর এলাকার আহাম্মদ উল্যার ছেলে সোহরাব হোসেন (২৬), একই এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে নওয়াজ শরীফ (২৬) ও ইসমাইল লেবারের ছেলে রিয়াজ (২৭)।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ১৩ মে সন্ধ্যায় চৌমুহনী বাজারের লাইফ কেয়ার হাসপাতালের ল্যাব টেকনিশিয়ান জয়কে পৌর হাজীপুর এলাকার মাওলানা কাশেমের বাড়ির সামনে ডেকে নেন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা। পরে সেখানে আসামিরা জয়কে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে জখম করে। এতে জয়ের মাথায় ও কানে আঘাত প্রাপ্ত হয়। আসামিরা পালিয়ে গেলে স্থানীয় লোকজন জয়কে উদ্ধার করে প্রথমে বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
পরে সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ২৫০শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার ২দিন পর ১৫ মে সন্ধ্যায় ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা আবদুর রহমান বাদী হয়ে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা তদন্ত শেষে ৪জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। আদালত শুনানি শেষে ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় ৩আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন।
মামলার রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) গুলজার আহমেদ জুয়েল জানান, সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারের পর থেকে তাদের সাজা শুরু হবে। এ মামলায় বেলাল নামের অপর আসামির অভিযোগ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে মামলা থেকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
মামলায় আসামি পক্ষে কোন আইনজীবী না থাকায় সরকারের পক্ষ থেকে (ডিফেন্স ল‘ইয়ার) হিসেবে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট শিব নাথ ভৌমিক।
এ.এম.এম.নাসিম/আল/দীপ্ত সংবাদ