নোয়াখালীতে বন্যা পরিস্থিতি দিন দিন অবনতির দিকে যাচ্ছে। লোকালয়ে বাড়ছে পানি। এর মধ্যে রাতভর ভারি বৃষ্টি সাথে বজ্রপাত হচ্ছে। গত ২৪ ঘন্টায় নোয়াখালীর জেলা শহর মাইজদী সহ ৮ টি উপজেলার অধিকাংশ এলাকায় এক থেকে দেড় ফুট উচ্চতায় পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
নোয়াখালী জেলার সদর, বেগমগঞ্জ, কবিরহাট, সেনবাগ ও সোনাইমুড়ীতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিদ্যুৎ ও মোবাইল নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন রয়েছে অনেক এলাকা। অনেক কাঁচা বাড়িঘর বন্যার পানিতে ভেসে গেছে।
আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে ইতোমধ্যে খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। সরকারি ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন গুলো থেকে যে পরিমাণ ত্রান সামগ্রী দেয়া হচ্ছে তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। নৌকার সংকটে প্রত্যন্ত অঞ্চলে ত্রান সামগ্রী পৌঁছে দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। বন্যায় নোয়াখালীতে এখন পর্যন্ত পানিতে ডুবে ও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
চলমান বন্যায় বিশুদ্ধ পানির সংকটে নোয়াখালীতে পানিবাহিত রোগের সংখ্যা বাড়ছে। প্রতিদিন ১৫০ জনের বেশি মানুষ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। পাশাপাশি সাপে কাটা রোগীর সংখ্যাও বেড়ে চলছে। প্রতিদিন ৪০ থেকে ৫০ জন সাপে কাটা রোগী ভর্তি হচ্ছেন হাসপাতালে। হাসপাতালগুলোতে মেডিসিন ও অ্যান্টিভেনমের ও তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।
জেলার এর হাজারের বেশি আশ্রয়কেন্দ্রে দুই লাখের বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। প্রতিনিয়তই আশ্রয়কেন্দ্রে বাড়ছে মানুষের ভিড়। পানিবন্দি আছেন জেলার ৮ উপজেলার ২০ লাখ মানুষ।
শাহ্/ আল/ দীপ্ত সংবাদ