নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার রাজগঞ্জ ইউনিয়নে মাছ ব্যবসায়ী দুলাল চন্দ্র দাস (৫৫) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি বাদশাকে (২৮) আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় লোকজন।
শনিবার (২৪ জুন) ভোরে বাড়ি থেকে বের হয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় তাকে আটক করে গণপিটুনি দেয় স্থানীরা।
পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আহত অবস্থায় বাদশাকে উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসার জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
স্থানীয়রা জানায়, হত্যাকাণ্ডের পর বাদশা পলাতক ছিলো। রাতে তার মায়ের সাথে দেখা করতে বাড়িতে আসে। ভোরে বাড়ি থেকে বের হয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় তাকে আটক করে গণপিটুনি দেয় লোকজন।
গ্রেপ্তারকৃত বাদশা রাজগঞ্জ ইউনিয়নের টঙ্গীরপাড় গ্রামের কামাল হোসেনের ছেলে।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি বলেন, স্থানীয় লোকজন তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। আহত বাদশাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। চিকিৎসা শেষে তাকে বিচারিক আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হবে।
এ ঘটনায় আবদুর রব আবুল (৪০) নামের আরও এক আসামিকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে এবং সে ১৬৪ ধারায় হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১০ জুন শনিবার সকালে স্থানীয়দের তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ রাজগঞ্জ ইউনিয়নের টঙ্গিপাড় গ্রাম থেকে মাছ ব্যবসায়ী দুলাল চন্দ্র দাসের গলাকাটা মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত দুলাল চন্দ্র দাস ওই গ্রামের পরেশ চন্দ্রা দাসের ছেলে। এরআগে রাতের কোন একসময় পুকুর পাড়ে চেয়ারে বসা অবস্থায় দুলালকে গলাকেটে হত্যা করে বাদশা আবুল সহ কয়েকজন।
এ.এস.এম.নাসিম/আফ/দীপ্ত নিউজ