নোয়াখালীর সদর উপজেলার কালাদরাপ ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডে এক গৃহবধূকে (২৮) ঘরে ডুকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে মুসলিম কন্ট্রাক্টর নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। পরে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে ওই নারীরে ধারালো ছোরা দিয়ে গুরতর জখম করেছে মুসলিম কন্ট্রাক্টর।
শুক্রবার (২৮এপ্রিল) সকালে আশংকাজনক অবস্থায় আহত গৃহবধূকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দুপুরে তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
জানা গেছে, স্বামী ও বাবা ভোলার একটি ইটভাটায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করায় বাবার বাড়িতে দুই সন্তানকে নিয়ে থাকতেন ওই নারী। গত কয়েক মাস ধরে বাড়িতে তাদের একটি পাকা ঘরের কাজ চলছিলো। ওই নির্মানাধীন ঘরের একটি কক্ষ প্রস্তুত করে সন্তানদের নিয়ে সেখানে থাকতেন তিনি।
ভুক্তভোগী গৃহবধূর ছোট বোন সুখি বেগম বলেন, প্রতিদিনের ন্যায় বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে সন্তানদের নিয়ে রাতের খাওয়া শেষে নির্মানাধীন ভবনের ওই কক্ষে ঘুমিয়ে পড়ে সে। রাত সাড়ে ১২টার দিকে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘরের বাইরে যান তিনি। এ সুযোগে ঘরে ওই কক্ষে এসে লুকিয়ে থাকে পাশ্ববর্তী বাড়ির মুসলিম কন্ট্রাক্টর। পুনঃরায় গৃহবধূ কক্ষে ফিরে আসলে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় মুসলিম। এক পর্যায়ে তাদের দুইজনের মধ্যে ধস্তাধস্তি হলে মুসলিম গৃহবধুর পায়ের উপরের অংশে ধারালো ছুরি দিয়ে জখম করে এবং গৃহবধূর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে দ্রুত পালিয়ে যায় মুসলিম। পরে সকালে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। কিন্তু ছুরির আঘাতটি গভীর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা স্থানান্তর করা হয়।
সুধারাম মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান পাঠান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ভুক্তভোগীর পরিবারকে লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
যূথী/দীপ্ত সংবাদ