নেপালে জেন ‘জি‘দের দুর্নীতি বিরোধী ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে বিক্ষোভ চলছে। সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) কাঠমান্ডু জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে সহিংসতা। এতে এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছে ১৪ জন। এরই মধ্যে দেশটিতে জারি করা হয়েছে কারফিউ। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিতীয় প্রীতি ফুটবল ম্যাচটি বাতিল করা হয়েছে।
আগামীকাল মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে বাংলাদেশে ও নেপালের মধ্যকার দ্বিতীয় প্রীতি ফুটবল ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নেপালের চলমান পরিস্থিতিতে বাতিল হলো ম্যাচটি।
এর আগে বিক্ষোভের কারণে বাংলাদেশ দলের নির্ধারিত সময়ের অনুশীলন বাতিল করা হয়। আপাতত টিম হোটেলেই আছেন ফুটবলাররা। ম্যাচ বাতিল হওয়ায় ফুটবলারদের দ্রুত এবং নিরাপদে দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে বাফুফে।
নেপালে দুর্নীতির প্রতিবাদে কঠোর বিক্ষোভ শুরু হয়। সরকার বিক্ষোভ দমন করতে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অ্যাপস ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এতে বিক্ষোভ বেগবান হয়। দেশটির তরুণ ছাত্র–জনতা রাজধানী ছাড়াও পোখারা, বুতোয়াল, ভারতপুর ও ইতাহারিসহ কয়েকটি শহরের বিক্ষোভ করেন।
এর আগে বাফুফে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্টে লেখে, ‘ফেডারেশন কাঠমান্ডুর সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। আমাদের সকল সমর্থক ও ফুটবল পরিবারকে আশ্বস্ত করতে চাই, দলের নিরাপত্তাই সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ, অল নেপাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (ANFA) এবং বাংলাদেশ দূতাবাসের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। দল নিরাপদ রয়েছে এবং তারা বর্তমানে টিম হোটেলে সুরক্ষিত আছে।’