স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম নির্বাসিত কবি, লেখক ও কলামিস্ট দাউদ হায়দার মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) স্থানীয় সময় রাত ৯টা ২০মিনিটে জার্মানির রাজধানী বার্লিনে শ্যোনেবের্গ ক্লিনিকে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
বার্লিনে কবির অত্যন্ত স্নেহভাজন, সংস্কৃতিকর্মী ও শিল্পী মাইন চৌধুরী পিটু জানান, কবি দাউদ হায়দার ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক অসুস্থতাজনিত জটিলতায় ভুগছিলেন। শনিবার সন্ধ্যার পর কবির শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। তার মরদেহ বার্লিনেই দাফন করা হবে।
১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি পাবনায় জেলায় জন্ম নেন দাউদ হায়দার। তিনি একাধারে কবি, লেখক ও সাংবাদিক। সত্তর দশকের শুরুর দিকে তিনি ‘দৈনিক সংবাদের‘ সাহিত্য পাতার সম্পাদক ছিলেন। ১৯৭৩ সালে লন্ডন সোসাইটি ফর পোয়েট্রি তার এক কবিতাকে ‘দ্য বেস্ট পোয়েম অব এশিয়া’ সম্মানে ভূষিত করে।
১৯৭৪ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ‘দৈনিক সংবাদ‘ পত্রিকার সাহিত্য পাতায় ‘কালো সূর্যের কালো জ্যোৎস্নায় কালো বন্যায়’ নামের একটি কবিতা লেখার ‘অপরাধে’ ১৯৭৪ সালের ১১ মার্চ গ্রেপ্তার হন।
তাঁর বিরুদ্ধে আদালতে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের জন্য মামলা করা হয়। তখন তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগের ছাত্র ছিলেন।
পরে ১৯৭৪ সালের ২১ মে দাউদ হায়দারকে দেশ থেকে বহিষ্কার করা হয়। প্রথম তিনি ১৩ বছর কলকাতায় ছিলেন। তারপর ভারত সরকারও তাকে বহিষ্কার করে।এরপর নোবেল বিজয়ী জার্মান সাহিত্যিক গুন্টার গ্রাসের বিশেষ চেষ্টায় ১৯৮৬ সালের ২২ জুলাই জার্মানি পৌঁছে আশ্রয় নেন দাউদ হায়দার।
এসএ