আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ৬০ হাজার সেনা সদস্য নিয়োজিত থাকবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
সোমবার (২৮ জুলাই) নির্বাচন প্রস্তুতি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে দ্বিতীয় মিটিং শেষে রাজধানী ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।
প্রেস সচিব বলেন, নির্বাচন কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রিভিউ করা হয়েছে। কিছুদিন আগেও প্রধান উপদেষ্টা এ রকম একটা মিটিং করেছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় আজ দ্বিতীয় মিটিং হলো। এই মিটিংয়ে অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ বিষযয়ে আলোচনা হয়েছে এবং সিদ্ধান্ত এসেছে।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন সামনে রেখে এরইমধ্যে অনেক মিসইনফরমেশন সার্কুলেট হচ্ছে। সামনে এটা আরও ইনটেনসিফাই করবে। ন্যাশনাল ইনফরমেশন সেন্টারের মাধ্যমে আমরা খুব দ্রুততার সঙ্গে মিসইনফরমেশনগুলো ডিবাঙ করতে পারব। এ বিষয়ে বিশদ আলোচনা হয়েছে।’
নির্বাচনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কোন ভূমিকায় থাকবে? জানতে চাইলে শফিকুল আলম বলেন, সেনাবাহিনী পক্ষ থেকে বলা হয়েছে প্রায় ৬০ হাজার সদস্য মাঠে থাকবেন। এরই মধ্যেই ৫ আগস্ট পর থেকেই তারা মাঠের ডিউটিতে আছেন। তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার আছে। তারা মূলত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে থাকবেন।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন উপলক্ষ্যে সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে দেড় লাখ পুলিশ সদস্যকে ট্রেনিং দেয়া হবে। মিটিংয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, পুলিশের অনেক ভালো কাজ সামনে আসছে না।
৫ আগস্ট নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা আসবে কি না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এ বিষয়ে এখনও কোনো তথ্য নেই।
ব্রিফিংয়ে উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, নির্বাচনের হটস্পট চিহ্নিত করতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। প্রশাসনের রদবদলের প্রক্রিয়া নিয়েও বৈঠকে আলোচনা করা হয়েছে।
এসএ