নির্বাচন করেন রাজনীতিবিদরা, আর প্রাণ যায় সাধারণ মানুষের। দেশের প্রায় প্রতিটি সাধারণ নির্বাচনের আগে ও পরে ঘটছে এমন দুঃখজনক ঘটনা। কখনও আগুন সন্ত্রাস, কখনও সংঘর্ষ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব বিষয়ে রাজনীতিবিদদের উদ্বেগ কেবলই লোক দেখানো। বিচারহীনতার ধারাবাহিকতার অভাবও এক্ষেত্রে অনেকটা দায়ি বলে মনে করেন তারা।
গত ৫ই জানুয়ারি রাজধানীর গোপীবাগে ট্রেনে দেয়া আগুনে পুড়ে প্রাণ যায় নারী ও শিশু সহ ৪ জনের। নির্বাচন কেন্দ্রিক হিংস্রতার এই আগুনের শিখায় পুড়ে যাওয়া মৃত ৪ জনের একজন হলেন নাতাশা জেসমিন।
আগুনে দগ্ধ নাতাশার মরদেহ চিহ্নিত করাও দায় হয়ে পড়ে।
তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, গত ১৮ ডিসেম্বর শুরু হয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচার প্রচারণা। চলে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। ওই ১৮ দিনে দেশে নির্বাচনী সংঘাতে তিনজনের মৃত্যু হয়। আর ৭ জানুয়ারি ভোটের দিন নিহত হন আরও একজন।
২০১৮ সালে কেবল ভোটের দিনই নির্বাচনী সংঘাতে প্রাণ হারান অন্তত ১৫ জন। আর ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে ও পরে আগুন সন্ত্রাসের কথা এখনও দু:সহ স্মৃতি হয়ে ফেরে ভুক্তভোগীদের স্বজনদের বুকে।
হাতহত এসব অনেক ব্যক্তিই হয়ত রাজনীতি করতেন না। কোনো রাজনৈতিক দলের হয়ে মিছিল–সমাবেশে স্লোগান দেননি। কিন্তু তাদেরও রাজনৈতিক সহিংসতার বলি হতে হয়েছে। তাই আতঙ্ক এখন জনমনে, শিশুদেরও ঘরকুনো করে রাখেন অভিভাবকরা।
এই আতঙ্ক থেকে তবে পরিত্রাণের উপায় কি? কেনই বা রাজায় রাজায় যুদ্ধ হয়, উলুখাগড়ার প্রাণ যায়। অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওয়তায় আনা উচিৎ মনে করেন সমাজের সচেতন নাগরিকরা।
রাজনীতিবিদদের হাত ধরেই এগিয়ে যাবে দেশ, দেশের মানুষ, এমনটাই প্রত্যাশা সাধারণ মানুষের।
আল / দীপ্ত সংবাদ