‘নিয়োগে কোনও প্রকার সুপারিশের আশায় আমার কাছে বা এনসিপি কোনও নেতার কাছে কেউ আসবেন না। এনসিপি শতভাগ স্বচ্ছ ও মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ চায়‘ বলে উল্লেখ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ফেসবুক পোস্টে সারজিস লিখেন, পঞ্চগড়ে পুলিশের কনস্টেবল পদে নিয়োগ হচ্ছে। এখন ফিটনেস পরীক্ষা চলছে। এরপর ৫০ মার্কের লিখিত পরীক্ষা। সবশেষে ১৫ মার্কের ভাইভা হবে। ফিটনেস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে লিখিত এবং ভাইবার ৬৫ মার্কের ওপর নির্ভর করবে তার চাকরি হবে কিনা। অর্থাৎ এখানে রিটেন পরীক্ষা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। যে রিটেনে যত ভালো করবে তার চাকরি পাবার সম্ভাবনা ততো বেশি।
গতবার প্রায় ৫০০+ পরীক্ষার্থী ফিটনেসে উত্তীর্ণ হয়ে রিটেন এবং ভাইবা দিয়েছিল। এর মধ্যে ফাইনালি ২৮ জন নিয়োগ পেয়েছিল। ভাইভাতে মোটামুটি বেসিক জ্ঞান থাকলে ১৫ এর মধ্যে ৭–৮ এমনিতেই পায়। সেখানে ভাইভাতে সুপারিশ করে ২–৪ মার্ক বাড়িয়ে কোনো লাভ নেই যদি আপনি রিটেনে ভালো না করতে পারেন। যেহেতু রিটেনে ভাইবার তিনগুণ মার্কস রয়েছে তাই যদি আপনি পুলিশের কনস্টেবল হতে চান তাহলে লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি ভালোভাবে নিন।‘
তিনি আরও উল্লেখ করেন, এবার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথায় আসি। ফিটনেস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেই রিটেন ভাইবার প্রিপারেশন বাদ দিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা বা সমন্বয়কদের পিছনে দৌড়ানো বন্ধ করুন। জেলা পুলিশ পঞ্চগড় নিশ্চিত করেছেন, পঞ্চগড়ে শতভাগ মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ হবে। কোনো প্রকার সুপারিশকে গ্রহণ করা হবে না।
এনসিপি এই নেতা বলেন, ‘কোটা না মেধা; এই স্লোগান দিয়ে একটা অভ্যুত্থান হয়েছে। দেড় হাজারের অধিক মানুষ জীবন আর অর্ধ–লক্ষের অধিক মানুষ রক্ত দিয়েছে। সেখানে ‘মেধা‘র বিপরীতে ‘সুপারিশ‘ এই অভ্যুত্থানের শহীদের রক্তের সাথে প্রতারণার নামান্তর। দয়া করে নিয়োগের ক্ষেত্রে আমার কাছে কেউ কোনো প্রকার সুপারিশের আশায় আসবেন না এবং আহ্বান থাকবে অন্য কোন দলের কোন নেতার কাছেও যাবেন না। বরং আমরা চাইবো বাংলাদেশ পুলিশ শতভাগ স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়া অনুসরণ করবে এবং সকল রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ আমরা সেখানে সহযোগিতা করবো, মেধার জয় নিশ্চিত করব।
এসএ