শরীরে ট্যাটুর কারণে আলোচনায় এসেছেন কাতার বিশ্বকাপের অনেক খেলোয়াড়। মেসি-নেইমার ছাড়াও ট্যাটু করার তালিকায় আছেন নতুন প্রজন্মের বেশকয়েকজন ফুটবলার।
শরীরে ট্যাটু করা আলোচিত ফুটবলারদের মধ্যে অন্যতম ইংল্যান্ডের ডেভিড বেকহ্যাম। বর্তমান সময়ে অবশ্য অনেক খেলোয়াড়ই ট্যাটুর দিকে ঝুঁকছেন। যার মধ্যে রয়েছে আর্জেন্টাইন তারকা লিওনেল মেসির নাম। তিনি বাঁ কাঁধের নিচে এঁকেছেন মায়ের প্রতিকৃতি। এছাড়াও প্রথম সন্তান থিয়াগো, নিজের বোন, স্ত্রী এমনকি যিশু খ্রীষ্টের ছবিও আছে তার শরীরে। ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমারের শরীরে আছে ৪৯টি ট্যাটু। এর মধ্যে পরিবার, ভালোবাসা ও নিজের দর্শনের সাথে অলিম্পিক ফুটবলে দেশের হয়ে প্রথম স্বর্ণ জেতার ছবিও আছে।
কাতার বিশ্বকাপে ট্যাটুর কারণেই নজর কেড়েছেন কয়েকজন ফুটবলার। তাদের মধ্যে, উরুগুয়ের সেবাস্তেয়ান সোসার মাথার দুইদিকে দুটি বাঘের ছবি, ব্রাজিলের স্ট্রাইকার রিচার্লিসনের হাতজুড়ে করা ট্যাটু, তার স্বদেশি অ্যান্টনির হাতে শিশু থেকে বয়স্ক সিংহের ছবি অন্যতম। আর্জেন্টিনার লিয়ান্দ্রো পেরেদেসের পিঠজুড়ে থাকা সুন্দরবনের বাঘ তো ধাঁধায় ফেলে; এটা ট্যাটু নাকি পোশাক?
তবে ট্যাটুপ্রীতি নেই পর্তুগাল তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর। চারমাস পর পর নিয়মিত রক্তদান করতে শরীরে ট্যাটু করাননি তিনি। সংক্রমণের ঝুঁকি থাকায় ট্যাটু করানোর ছয়মাস পর্যন্ত রক্ত দেয়া যায় না।