ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ নিউক্লিয়ার মেডিসিন অ্যান্ড অ্যালায়েড সায়েন্সেস–নিনমাস, ঢাকা এর নতুন পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন থাইরয়েড বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও অধ্যাপক ডা. এ.কে.এম. ফজলুল বারী।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) বাংলাদেশ পরমানু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামরুল হুদা কর্তৃক তাকে পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করা হয়।
নিনমাসের সকল চিকিৎসক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী তাঁকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন। এসময় নবনিযুক্ত পরিচালক সবাইকে সাথে নিয়ে একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। এছাড়াও তিনি নিনমাসসহ বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন–এর গবেষণা, সেবা আরো উন্নততর করে নিনমাসকে “ওয়ার্ল্ড এক্সিলেন্স সেন্টার” হিসেবে গড়ে তুলতে সকল বিজ্ঞানী ও চিকিৎসকবৃন্দের সহযোগীতা চান। তিনি তার বক্তব্যে সবাইকে দেশ ও মানবতার কল্যানে উদ্বুদ্ধ হয়ে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য তৈরি থাকার জন্য আহবান জানান।
উল্লেখ্য যে অধ্যাপক ডা. এ.কে.এম. ফজলুল বারী বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারে উত্তীর্ণ হয়ে তাঁর পেশাজীবন শুরু করেন এবং ২০০৫ সালে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন–এর অধীন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ নিউক্লিয়ার মেডিসিন অ্যান্ড অ্যালায়েড সায়েন্সেস – নিনমাসে যোগদান করেন। তিনি একজন অধ্যাপক ও থাইরয়েড বিভাগের বিভাগীয় প্রধান। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশন (BMA) এর একজন আজীবন সদস্য এবং WAIM, Delhi এর একজন সম্মানিত Fellow. এছাড়াও তিনি একাধারে বাংলাদেশ সোসাইটি অব ডপলার আল্ট্রাসাউন্ড (BSDU) এর সভাপতি, বাংলাদেশ সোসাইটি অব আল্ট্রাসাউন্ডের (BSU) Scientific Secretary, বাংলাদেশ থাইরয়েড সোসাইটি (BTS) এর Joint Secretary, সোসাইটি অফ নিউক্লিয়ার মেডিসিন, বাংলাদেশ (SNB) এর একজন Executive Member এবং মেডিসিন ক্লাব কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টাএবং প্রতিষ্ঠাকালীন সাধারণ সম্পাদক। এছাড়াও আল্ট্রাসাউন্ড নিয়ে বাংলাদেশের প্রথম পাঠ্যপুস্তক “Ultrasound & Color Doppler in Medical Science” বইয়ের লেখক তিনি। তার আলোচনা, গবেষণা ও লেখা বিভিন্ন জাতীয় টিভি ও রেডিও চ্যানেল, চিকিৎসা বিষয়ক ম্যাগাজিন ও জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত হয়। অধ্যাপক ডা. বারী জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে অনেক পুরষ্কার লাভ করেছেন যার মধ্যে ২০১৭ সালে “বঙ্গবীর ওসমানী পদক, ২০২২ সালে “আন্তর্জাতিক গোল্ড মেডেল অ্যাওয়ার্ড। এছাড়াও ২০১৭ সালে দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠিত ১৩তম AFSUMB সম্মেলনে ব্রোঞ্জ পদকে ভূষিত হন। এছাড়াও তার গবেষণার জন্য দেশে–বিদেশে খ্যাতি অর্জন করেন।
বাংলাদেশে থাইরয়েড চিকিৎসায় তিনি প্রথম বেসরকারি “দি থাইরয়েড সেন্টার” এবং আল্ট্রাসাউন্ড শিক্ষা ও গবেষণার জন্য বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অফ থাইরয়েড মেডিসিন অ্যাণ্ড ইমেজিং রিসার্চ – বিটমির প্রতিষ্ঠা করেন।