কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ পর্যটক নিহতের ঘটনায় পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপের অংশ হিসেবে নিজেদের সব বন্দরে ভারতের পতাকাবাহী জাহাজ নিষিদ্ধ করেছে পাকিস্তান।
শনিবার (৩ মে) পাকিস্তান নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের বন্দর ও শিপিং শাখার বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম ডন–এর প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
পাকিস্তান নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের বন্দর ও শিপিং শাখা থেকে জারি করা আদেশে বলা হয়েছে, ‘প্রতিবেশী দেশের (ভারত) সঙ্গে সাম্প্রতিক সমুদ্র পরিস্থিতি পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তানের সমুদ্র সার্বভৌমত্ব, অর্থনৈতিক স্বার্থ এবং জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষার জন্য অবিলম্বে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো কার্যকর করা হলো—ভারতীয় পতাকাবাহী জাহাজ পাকিস্তানের কোনো বন্দরে ভিড়তে দেওয়া হবে না, পাকিস্তানি পতাকাবাহী জাহাজ ভারতীয় কোনো বন্দরে যাবে না।
তবে, এ বিষয়ে যেকোনো ব্যতিক্রম বা ছাড়ের ক্ষেত্রে পরীক্ষা–নিরীক্ষার পর ‘কেস–টু–কেস’ ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও আদেশে জানিয়েছে পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ।
এর আগে, পাকিস্তানি পতাকাবাহী জাহাজ বন্দরে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে ভারত।
বৃহস্পতিবার (১ মে) ভারত নৌপরিবহন মহাপরিচালক এক বিবৃতিতে বলেন, পাকিস্তানি পতাকাবাহী জাহাজগ ভারতের কোনো বন্দরে ভিড়তে দেওয়া হবে না এবং ভারতীয় পতাকাবাহী জাহাজ পাকিস্তানের কোনো বন্দরে যাবে না। ভারতীয় সম্পদ, পণ্য ও সংশ্লিষ্ট অবকাঠামোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য জনস্বার্থে এবং ভারতীয় শিপিংয়ের স্বার্থে এই আদেশ জারি করা হলো।
উল্লেখখ্য, ২২ এপ্রিল ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হন। এ হামলার পেছনে পাকিস্তানের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করে আসছে নয়াদিল্লি। তবে এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে পাকিস্তান। হামলার পর থেকে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রতিবেশীর মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা শুরু হয়েছে।
এসএ