ফেনীর আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর নারী ভিক্ষুক গণধর্ষণ মামলার মূলহোতা মেহরাজসহ এজাহারনামীয় দুই আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাতে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব জানায়, ভিকটিম স্বামী পরিত্যক্তা ভিক্ষুক নারী চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা। গত ৪ সেপ্টেম্বর ভিকটিম কুমিল্লার সদর উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়ন থেকে ভিক্ষা করে ফেনী সদর উপজেলার ছনুয়া ইউনিয়নে আসলে জনৈক মেহরাজের সাথে ভুক্তভোগী ভিকটিমের পরিচয় হয়। পরিচয়ের এক পর্যায়ে মেহরাজ ভিকটিমকে বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে আর্থিক সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দিয়ে এবিএম ব্রিক ফিল্ডের শ্রমিকদের শোয়ার কক্ষে নিয়ে যায়। অতঃপর কোনো কিছু বুঝে উঠার আগেই তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে মেহরাজ ও তার সাত-আট জন সহযোগী মিলে পালাক্রমে গণধর্ষণ করে। পরবর্তীতে ধর্ষণকারীরা ভিকটিমকে ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে রেখে পালিয়ে গেলে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নির্যাতিত ভিকটিকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
ঘটনায় ভুক্তভোগী ভিকটিম বাদী হয়ে আটজনকে এজাহারনামীয় ২–৩ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে ফেনী মডেল থানায় গণধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
চাঞ্চল্যকর ঘটনার পলাতক আসামীদের গ্রেপ্তারে গোয়েন্দা নজরদারি ও ছায়াতদন্ত অব্যাহত রাখে। একপর্যায়ে র্যাব গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে মামলার এজাহারনামীয় আসামী সালাউদ্দিন ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনীর লালপুল এলাকায় অবস্থান করছে। র্যাবের একটি দল ১৫ সেপ্টেম্বর অভিযান পরিচালনা করে নোয়াখালী সদরের চরজুবলী গ্রামের মৃত আলী আহম্মদের ছেলে সালাউদ্দিন (৩৫) কে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃত সালাউদ্দিনের স্বীকারোক্তি ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় র্যাব জানতে পারে গণধর্ষণের মূলহোতা পলাতক আসামী মেহরাজ ফেনীর দাগনভূঞার দিলপুর এলাকায় অবস্থান করছে। র্যাবের একটি দল ১৫ সেপ্টেম্বর ওই এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে গণধর্ষণের মূলহোতা নোয়াখালীর হাতিয়ার ইউনুছপুর ফকিন্নিপাড়া গ্রামের মৃত রুহুল আমিনের ছেলে মো. মেহরাজ (৩৫) কে গ্রেপ্তার করে।
ফেনীস্থ র্যাবের কোম্পানি অধিনায়ক স্কোয়াড্রন লিডার মোহাম্মদ সাদেকুল ইসলাম জানান, গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য ফেনী মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
আবদুল্লাহ আল–মামুন/পূর্ণিমা/দীপ্ত নিউজ