নাটোরের গুরুদাসপুর ও নলডাঙ্গায় উপজেলায় বজ্রপাতে দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (৭ জুন) এ ঘটনা ঘটে। মৃতরা হলেন– গুরুদাসপুর উপজেলার আনন্দনগর গ্রামের সাদ্দাক আলীর স্ত্রী আবেরা বেগম (৪০) ও নলডাঙ্গা উপজেলার পীরগাছার কোমরপুর শাহ পাড়ার লুৎফর আলীর ছেলে কামরুল ইসলাম (৩০)।
গুরুদাসপুর পৌরসভার কাউন্সিলর ফজলুর রহমান ফজল জানান, দুপুর ২টার দিকে আকাশে মেঘ দেখে নিহত আবেরা বেগম বাড়ির পাশে ডোবা থেকে হাঁস বাসায় ফেরত আনতে যায়। এ সময় বৃষ্টি শুরু হলে আম গাছের নিচে আশ্রয় নেন। এ সময় বিকট শব্দে বজ্রপাতে সেখানেই লুটিয়ে পড়েন। স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।
গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত চৈতি মুন্সি জানান, দুপুরে ওই গৃহবধুকে তার স্বজনরা চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে আসেন। এর আগেই তার মৃত্যু হয়। বজ্রপাতের কোন লক্ষণ পাওয়া না গেলেও ধারণা করা হচ্ছে বজ্রপাতের শব্দে হৃৎযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন।
নলডাঙ্গা উপজেলার ব্রহ্মপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম আশরাফুজ্জামান মিঠু জানান, শুক্রবার দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার পীরগাছা শাহপাড়া এলাকায় বারনই নদীতে জাল ফেলে কামরুল ইসলাম মাছ শিকার করছিলেন। এ সময় হঠাৎ বজ্রপাতে কামরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে মারা যায়।
নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোনোয়ারুজ্জামান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, বারনই নদীতে মাছ শিকারের সময় কামরুল ইসলাম নামে এক যুবক বজ্রপাতে মারা গেছে।
এজে/সাহেদুল আলম/নাটোর/দীপ্ত সংবাদ