শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪
শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪

নাটোরে ধান দিয়ে তৈরি হলো দুর্গা প্রতিমা

Avatar photoদীপ্ত নিউজ ডেস্ক

শারদীয় দুর্গাৎসবকে ঘিরে সাধারণত বাঁশ, পাট, কাঁদামাটি দিয়ে প্রতিমা তৈরি করা হলেও এবার ব্যতিক্রমী ধান দিয়ে একটি দুর্গাপ্রতিমা তৈরি করা হয়েছে।

ধানে সাজানো এই দুর্গার পূজা হবে নাটোর শহরের লালবাজার কদমতলার রবি সূতম সংঘের মণ্ডপে। প্রতিমাটি তৈরি করেছেন লালবাজার এলাকার বিশ্বজিৎ পাল ও তার কাকা গোপাল চন্দ্র পালের নেতৃত্বে চার সদস্যের শিল্পী দল।

প্রতিমাশিল্পী বিশ্বজিৎ পাল বলেন, বংশপরম্পরায় তাঁরা প্রতিমা তৈরির কাজ করেন। প্রতিবছরই আয়োজকেরা প্রতিমায় নতুনত্ব চান। এবার রবি সূতম সংঘ তাদের মণ্ডপের জন্য সোনালি ধান দিয়ে মোড়ানো প্রতিমা তৈরির আবদার করেন। কাজটা খুব সহজ নয় জেনেও তিনি কাজটি শুরু করেন।

বিশ্বজিৎ পাল আরও বলেন, দুর্গাপ্রতিমা তৈরিতে প্রয়োজন পড়েছে পঞ্চাশ কেজি ধান। মাটি দিয়ে প্রতিমার আকৃতি দেয়ার পর শুকিয়ে যাওয়ার আগে একটি একটি করে ধান বসিয়ে দুর্গাপ্রতিমাটি তৈরি করতে সময় লেগেছে ২০ দিনের মতো। ১১ ফুট উচ্চতার এ দুর্গাপ্রতিমাটি ৯৫ হাজার টাকায় চুক্তি করেছেন রবি সূতম সংঘ।

গোপাল চন্দ্র পাল জানান, প্রায় এক মাস আগে দুর্গাপ্রতিমা তৈরির জন্য প্রথমে কাঠ, বাঁশ, পাট ও বিচালির কাঠামো তৈরি করা হয়। পরে তাতে মাটি দিয়ে প্রতিমার আকৃতি আনা হয়। মাটি শুকিয়ে যাওয়ার আগেই নরম মাটির ওপর প্রতিমার অবয়বে একটি একটি করে সোনালি রঙের ধান বসানো হয়। ধান বসানো শেষ হওয়ার পর দেখে মনে হচ্ছে, প্রতিমাটি সোনায় মোড়ানো হয়েছে। একটি একটি করে ধান বসানোর কাজটা খুবই চ্যালেঞ্জের।

বিরবি সূতম সংঘের সাধারণ সম্পাদক পার্থ রায় বলেন, ‘আমরা প্রতিবছরই দুর্গাপ্রতিমার অবয়বে নতুনত্ব আনার চেষ্টা করি। এরই ধারাবাহিকতায় এবার আমরা ধান দিয়ে প্রতিমা তৈরির পরিকল্পনা করি। আমরা বিশিষ্ট প্রতিমাশিল্পী বিশ্বজিৎ পালের শরণাপন্ন হই। তিনি ও তাঁর দল কাজটা করছেন। জেলায় এ ধরনের কাজ এটাই প্রথম।’

নাটোরের জেলা প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত) মো. মাছুদুর রহমান জানান, নির্বিঘ্নে পূজা উদযাপনের জন্য বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে। পূজা মণ্ডপে নিরাপত্তার দায়িত্বে সেনাবাহিনী, র‌্যাব, পুলিশ এবং আনসার থাকবেন।

প্রসঙ্গত, বহু বছর আগে স্বর্গীয় নিমাই চন্দ্র পাল নাটোর শহরের লালবাজারে প্রতিমা তৈরির একটি কারখানা গড়ে তোলেন। নিমাই চন্দ্র পালের মৃত্যুর পর স্বল্প পরিসরে প্রতিমা তৈরির কাজ করেন তার ছেলে বিশ্বজিৎ পাল এবং ছোট ভাই গোপাল চন্দ্র পাল।

উল্লেখ্য, এ বছর নাটোর জেলায় ৩৫৪টি মন্দিরে শারদীয় দুর্গাপূজার আয়োজন করা হয়েছে।

 

এসএ/দীপ্ত সংবাদ

আরও পড়ুন

সম্পাদক: এস এম আকাশ

অনুসরণ করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন

স্বত্ব © ২০২৩ কাজী মিডিয়া লিমিটেড

Designed and Developed by Nusratech Pte Ltd.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More