আফ্রিকার দেশ নাইজারের মরুভূমিতে আটকে পড়েছেন কয়েক হাজার অভিবাসী। এদের মধ্যে বাংলাদেশিও রয়েছেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
উন্নত জীবনের আশায় ইউরোপে যাওয়ার জন্য শত শত অভিবাসন প্রত্যাশী অবৈধভাবে আশ্রয় নিয়েছিলেন আফ্রিকার দেশ আলজেরিয়ায়। কিন্তু সেখান থেকে বিতারিত হয়ে ঠাঁই হয়েছে দারিদ্র নিপীড়িত দেশ নাইজারে। দেশটির তপ্ত মরুভূমিতে হেঁটে বেড়াচ্ছেন এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।
আলজেরিয়া থেকে বের করে দেয়া শত শত অভিবাসী জড়ো হয়েছেন নাইজারের সীমান্তবর্তী এলাকা আসামাকায়। বার্তাসংস্থা এএফপির প্রতিবেদন বলছে, এখন পর্যন্ত সাড়ে চার হাজারের বেশি অভিবাসন প্রত্যাশী দেশটির সীমান্ত এলাকায় ভিড় করেছেন। এদের মধ্যে মালি, আইভরি কোস্ট, সিরিয়া এবং বাংলাদেশি নাগরিকও রয়েছেন।
ইউরোপে যাওয়ার আশায় তারা ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ মরুভূমি পাড়ি দিয়েছেন। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা আইওএম এক–তৃতীয়াংশ অভিবাসন–প্রত্যাশীকে আশ্রয় দিতে পারলেও বাকিদের অবস্থা করুন। অভিবাসন প্রত্যাশীদের চাপে শেষ হয়ে যাওয়ার পথে আসামাকার ট্যাংকের পানি। দেখা দিয়েছে খাদ্য সংকটও।
মরুভূমির তীব্র গরম থেকে বাঁচার জন্য নেই পর্যাপ্ত আশ্রয়শিবির। ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার মধ্যে হাজার হাজার অভিবাসান প্রত্যাশী দেয়াল ও ত্রিপলের নিচে আশ্রয় নিয়েছেন। অভিবাসন প্রত্যাশীদের দাবি, ইউরোপ যাত্রার আশায় আলজেরিয়া থেকে বের করে দেয়ার আগে তাদের সবকিছু কেড়ে নেয়া হয়।
নাইজারের অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে আফ্রিকার অভিবাসীদের মানবিক সহায়তা কমিয়ে দিয়েছে ইউরোপের দেশগুলো। যার কারণে নাইজারে আশ্রয় নেয়া অভিবাসন–প্রত্যাশীদের সহায়তা দিতে হিমশিম অবস্থা বিভিন্ন সাহায্য সংস্থার।
এফএম/দীপ্ত সংবাদ