বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ৮জনের বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলায় সাক্ষ্য দিতে ৩ বিদেশি সাক্ষীকে দেশে আসার অনুমতি দিয়েছেন আদালত।
রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত অস্থায়ী ঢাকার বিশেষ জজ আদালত–৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান আবেদনটি মঞ্জুর করে আদেশ দেন।
তিন সাক্ষীর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (এফবিআই) একজন এবং কানাডার রয়্যাল মাউন্টেড পুলিশের দুই কর্মকর্তা রয়েছেন। এই ৩ জনকে সাক্ষী হিসেবে উপস্থাপন করতে ইস্যুর আবেদন করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। রাষ্ট্রপক্ষে থেকে তিনি আবেদনের বিষয়ে শুনানি করেন।
খালেদা জিয়ার পক্ষে আমিনুল ইসলাম এর বিরোধিতা করেন। তিনি বলেন, অ্যাটর্নি জেনারেল সারাদেশের সব মামলায় শুনানিতে উপস্থিত থাকতে পারেন। কিন্তু তার আবেদন করার এখতিয়ার নেই। আমরা এর বিরোধিতা করছি।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তিন বিদেশি সাক্ষীর সাক্ষ্য দেওয়ার আবেদন মঞ্জুর করেন।
এই মামলায় খালেদা জিয়াসহ আটজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ১০ অক্টোবর দিন ধার্য করেছে আদালত।
মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর কানাডার কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের বিপুল আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। তদন্তের পর ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের নামে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়।
গত ১৯ মার্চ এই মামলায় চার্জ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। এরপর গত ২৩ মে আদালতে সাক্ষ্য দেন মামলার বাদী দুদকের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মাহবুবুল আলম।
নাইকো মামলায় অন্য আসামিরা হলেন, তৎকালীন মুখ্য সচিব কামাল উদ্দীন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল, নাইকোর দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সিএম ইউসুফ হোসাইন, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ও বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ এইচ সেলিম। এর মধ্য প্রথম তিনজন পলাতক।
এসএ/দীপ্ত নিউজ