রসিংদীর সদর উপজেলার পাঁচদোনা ইউনিয়নের কাকশিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র দখল করাকে কেন্দ্র করে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্মী–সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। এতে প্রায় ৪০ মিনিট ভোটগ্রহণ বন্ধ রাখা হয়।
বুধবার (৮মে) সকাল ৯টার দিকে কাকশিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে এই ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
উল্লেখ্য, উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী কাপ–পিরিজ প্রতীকের প্রার্থী আনোয়ার হোসেন ও আনারস প্রতীকের আব্দুল বাকির গ্রুপের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
প্রাথমিকভাবে আহতদের মধ্যে হুমায়ুন কবির লিটন (৪০) ও সিদ্দিক (৩০) নামে দুজনের নাম জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, আনারস প্রতিকের সমর্থক স্থানীয় যুবলীগ নেতা মনির মোল্লার সমর্থকরা কেন্দ্র দখল করতে গেলে বাঁধা দেয় কাপ–পিরিচের সমর্থকরা। এতে দুই পক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কির ফলে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। এতে উভয় পক্ষের দশজন আহত হয়।
আনারস প্রতীকের সমর্থক আহত হুমায়ুন কবির লিটন বলেন, ‘কাপ পিরিজ প্রতীকের সমর্থক ও স্থানীয় আল আমিনের (৩৪) নেতৃত্বের টিপু (৩১), দুলালসহ (২৭) ১০ থেকে ১২ জন কেন্দ্রের ভেতরে আমাদের ওপর হামলা করে। আমি আনারস প্রতীকের এজেন্ট ছিলাম, আমাকে মারধর করে রক্তাক্ত অবস্থায় কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়েছে।
অভিযুক্ত কাপ–পিরিজের সমর্থক আল আমিন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য করে উসকানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছিলেন আব্দুল বাকিরের সমর্থক হুমায়ুন ও তাঁর লোকজন। পরে সামান্য হাতাহাতি হয়েছে এবং আমাদের ১০ জনকে এলোপাথাড়ি কিলঘুষি দিয়ে পিটিয়ে আহত করেছেন। আমরা কাউকে আঘাত করিনি।’
প্রিজাইডিং অফিসার কাউছার আহমেদ জানান, দুই পক্ষের সংঘর্ষের উত্তেজনার ফলে ৪০ মিনিট বন্ধ থাকে ভোট গ্রহণ। পরবর্তীতে পুনরায় চালু হয় কেন্দ্রটি।
নরসিংদী জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সামসুল আরেফিন বলেন, আমরা তদন্ত করে বের করার চেষ্টা করছি, কারা কারা এ ঘটনায় জড়িত। পরিবেশ এখন স্বাভাবিক রয়েছে। নির্বিঘ্নে ভোটগ্রহণ নিশ্চিত করতে অতিরিক্ত পুলিশ নিশ্চিত করা হয়েছে।
এসএ/দীপ্ত সংবাদ