টাঙ্গাইলের যমুনা নদীর পানি কমার সাথে সাথে শুরু হয়েছে নদী ভাঙ্গন। এতে করে জেলার নাগরপুর, ভূঞাপুর, কালিহাতী, গোপালপুর ও সদরে দেখা দিয়েছে নদী ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারণ করেছে।
উত্তাল যমুনায় পানি কমার সাথে সাথে নদী যেন নতুন ভাবে আগ্রাসন চালাচ্ছে। ফলে ভয়ঙ্কর ভাবে নদী ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে টাঙ্গাইলের ৫টি উপজেলার প্রায় ২০টি গ্রামে নদী ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে।
ফলে চোখের সামনেই যেন মুহুর্তের মধ্যে স্বপ্নের ঘরবাড়ি ভিটে মাটি চলে যাচ্ছে যমুনার গর্ভে। ইতি মধ্যেই। গত এক সপ্তাহে প্রায় দুই শতাধিক ঘর বাড়ি, রাস্তাঘাট এবং শত শত হেক্টর ফসলী জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। অনেকে ঘর বাড়ি সরিয়ে নেয়ার সুযোগটুকুও যেন পাচ্ছেনা। এসব ভাঙন কবলিত মানুষজন সব হারিয়ে হতাশায় জীবনযাপন করছে। দ্রুত ভাঙ্গনরোধে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থাসহ স্থানীয় বাধ নির্মাণের দাবী করছেন ভাঙ্গন কবলিত এলাকাবাসী।
ভাঙ্গন কবলিত এলাকাবাসী বলেন, আড়াইশ থেকে তিন‘শ বাড়ি আমরা তো নিড়ুপায় এরমধ্যে কোন এমপি আমাদেরে জন্য কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না । আমাদের দাবি স্থানীয়ভাবে যেন বাদ নির্মাণ করা হয় । আগে বাড়ি ছিল চরকের হাটি। নদী ভাঙ্গনের কারণে এখানে আসছি প্রায় ৩৫বছর। এই জায়গাও যদি ভেঙ্গে যায় তাহলে আর অন্য কোথাও যাওয়ার মতো শক্তি আমাদের আর নেই।
জেলা প্রশাসন বলছে ইতিমধ্যেই স্থায়ীবাধ নির্মাণে একটি প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে। টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষে আগামী শুষ্ক মৌসুমে বাধ নির্মাণের কাজ শুরু হবে।
টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক মো. কায়ছারুল ইসলাম বলেন, উপজেলার মূলত তিনটি সিবিআরলি নদী ভাঙ্গনের স্বীকার হচ্ছে। এর মধ্যে সলিমপুর অন্যতম। আজকে আমি সরেজমিন ও নিশ্চিন্তপুর এলাকা পরিদর্শন করে এসেছি। আমার কাছে মনে হয়েছে সাময়িকভাবে উপজেলা প্রশাসন নাগরপুরের পক্ষ থেকে সেখানে ৩০ হাজার জিওব্যাগ ফেলা হয়েছে। নদীতে একটি স্থানীয় বাদ নির্মাণ করার একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। মাননীয় সংসদ সদস্য খুবই প্রতক্ষ্যভাবে চেষ্টা করছেন ।
শায়লা /দীপ্ত নিউজ