আগামী ২০২৫–২৬ অর্থবছরে সরকারি কর্মচারীদের জন্য মহার্ঘ ভাতা ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তবে কত শতাংশ হারে এই ভাতা প্রদান করা হবে, তা এখনও নির্ধারিত হয়নি।
মঙ্গলবার (২০ মে) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা জানান।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা নতুন অর্থবছরের বাজেটে মহার্ঘ ভাতার জন্য বরাদ্দ রাখছি। তবে প্রক্রিয়াগত কিছু বিষয় থাকায় এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে আরও কিছুটা সময় লাগবে। কত শতাংশ ভাতা ঘোষণা করা হবে, সেটি পরবর্তীতে জানানো হবে।‘
দ্রব্যমূল্যের লাগাতার ঊর্ধ্বগতি ও জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়ায় সরকারি কর্মচারীদের একটি বড় অংশ মহার্ঘ ভাতার দাবি জানিয়ে আসছেন।
মূল বেতন কাঠামো অপরিবর্তিত থাকলেও সাময়িক ভিত্তিতে জীবনযাত্রার ব্যয় সামাল দিতে মহার্ঘ ভাতা চালুর দাবি দীর্ঘদিনের। বিশেষ করে খাদ্য, জ্বালানি, পরিবহন ও আবাসন খাতে খরচ বৃদ্ধি, নিম্ন ও মধ্যম আয়ের কর্মচারীদের ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমান মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের কাছাকাছি, যা সরকারের লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় অনেক বেশি। এই প্রেক্ষাপটে ১০ থেকে ২০ শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা ঘোষণা হতে পারে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
মহার্ঘ ভাতা মূলত বেতন কাঠামোর বাইরে প্রদেয় একটি ভাতা, যা মুদ্রাস্ফীতির প্রভাবে জীবনযাত্রার ব্যয় সমন্বয়ের জন্য দেয়া হয়। এ ভাতা সাধারণত মূল্যস্ফীতি, কর্মচারীদের জীবনযাত্রার মান এবং রাজস্ব আয়ের সক্ষমতা বিবেচনা করে নির্ধারণ করা হয়।