বিভিন্ন ডিজাইনের ঐতিহ্যবাহী এই কাঁথার জন্য, উদয়সাগর গ্রামটির নামই এখন হয়ে গেছে “নকশী কাঁথা পল্লী”। বর্তমানে তিনি একজন সফল নারী উদ্যেক্তা। তার হাত ধরে স্বাবলম্বী হয়েছেন, গ্রামের আরও দুইশো নারী।
বকুল, স্বদেশী, কার্পেট, লহরী কিংবা জামাই সোহাগী। নামগুলো শুনে মনে হতে পারে, কাঁথার আবার এতো বাহারি নাম? শুধু কাঁথার নামেই থেমে নেই। সংসারের টানাপোড়েনে দিশেহারা পলাশবাড়ী পৌরসভার উদয়সাগর গ্রামের শেফালী বেগম, ২০১৮ সালে প্রশিক্ষণ নিয়ে ২০ হাজার টাকা পুঁজিতে শুরু করেন নকশী কাঁথা সেলাইয়ের কাজ। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে।
দিন দিন নকশি কাঁথার কদর ও চাহিদা বাড়তে থাকায়, শেফালী বেগমের সঙ্গে যোগ দেন গ্রামের আরও দুইশ নারী। এক একটি নকশীকাঁথা সেলাই করতে সময় লাগে ১৫ থেকে ২০ দিন। রকমভেদে পারিশ্রমিক ৩ হাজার থেকে ৭ হাজার টাকা। আর্কষনীয় ডিজাইন ও গুনগত মান ভাল হওয়ায়, দেশের গণ্ডি পেরিয়ে এসব নকশীকাঁথা যাচ্ছে বিদেশেও।
বর্তমানে নকশী কাঁথার পাশাপাশি এপ্লিক বেডশিট, নকশি চাদর, সোফার কুশন কাভারসহ, হাতে তৈরি নানা পণ্য তৈরি করছেন শেফালী বেগম।