নওগাঁ-নাটোর আঞ্চলিক মহাসড়কের কাজ এখনো চলমান। তবে নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার আগেই এ সড়কটির প্রায় দেড়শ ফুট জায়গা জুড়ে দেবে গেছে। নিন্মমানের কাজের অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা।
তাদের দাবী দীর্ঘদিনের প্রত্যাশার সড়কটি আরো শক্ত ও মজবুত ভাবে তৈরী করা হোক। তবে সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্তৃপক্ষ বলছেন কাজের কোন অনিয়ম হয়নি। নিচের মাটি সরে যাওয়ায় সড়কটি দেবে গেছে।
নওগাঁ-নাটোর সাড়ে ৪৮কিলোমিটার আঞ্চলিক মহাসড়কটি দু’ধাপে সম্পূর্ন হচ্ছে। একনেক অনুমোদনে ৫০ কোটি টাকায় প্রথম ধাপে ২০০৭ সালে নওগাঁর ঢাকা মোড় থেকে নাটোরের নলডাঙ্গা পর্যন্ত মাটি ভরাটের কাজ শেষ হয়। যেখানে নওগাঁর অংশে ২৬কিলোমিটারের মধ্যে সাড়ে ৭কিলোমিটার এবং নাটোর অংশে সাড়ে ২২ কিলোমিটারের মধ্যে ১৬কিলোমিটার সড়ক পাকাকরণ করা হয়।
নতুন করে অর্থায়ন না হওয়ায় ২৩কিলোমিটার সড়ক পাকাকরণ হওয়ার পর হাইড্রোলজি সমীক্ষার নামে বন্ধ হয়ে যায় সড়কটির নির্মাণ কাজ। বাঁকি সাড়ে ২৫ কিলোমিটার সড়ক গোচারণভূমিতে পরিণত হয়েছিল। এরপর ২০১৭সালে একনেকে অনুমোদনের পর ব্রীজ ও কার্লভার্টসহ সাড়ে ২৫কিলোমিটার সড়ক নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ২০১কোটি ২৯লাখ টাকা।
প্রকল্পটি বাস্তবায়নে কাজ করছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। সম্প্রতি মহাসড়কের শাহাগোলা নামক স্থানে সড়কের উত্তর পাশে দেবে গেছে। এতে যানবাহন চলাচল বিঘ্ন হচ্ছে। যানবাহনে চলাচলে পাশের অংশে ইট দেওয়া হচ্ছে। সড়কটি নির্মাণের সময় পাশ থেকে গভীর করে মাটি কেটে উঁচু করা হয়েছিল।
ইতোমধ্যে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। নওগাঁ-নাটোর সাড়ে ৪৮কিলোমিটার আঞ্চলিক মহাসড়কটির কাজ সম্পূর্ন হলে ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের চলাচলে সময় বাঁচবে প্রায় ১থেকে দেড় ঘন্টা। তাই জনগুরুত্বপূর্ন সড়কটি সম্পন্ন হলে অর্থনীতিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।