নওগাঁ সদর উপজেলার বলিহার-হাঁসাইগাড়ি ইউনিয়ন ভূমি অফিসের (তহসিলদার) এক সহকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধেগলাকাটা ফি আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।
বলিহার গ্রামের আব্দুল মজিদ মন্ডলের বাড়ি, ভিটা, ধানী জমিসহ মোট ১৪ দশমিক ৫ শতাংশ জমির খাজনা বাবদ সরকারি ভূমি উন্নয়ন কর ও সুদ মিলে রশিদ দেওয়া হয়েছে ১১৮৯ টাকা। সেখানে তার কাছে থেকে আদায় করা হয়েছে ১ হাজার ৮০০টাকা এবং খারিজ বাবদ তিনি দিয়েছেন ২৯০০ টাকা। এভাবেই একের পর এক সেবাপ্রত্যাশীরা অভিযোগ তুলেছেন বলিহার-হাঁসাইগাড়ি ইউনিয়ন ভূমি অফিসের (তহসিলদার) সহকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
সরেজমিনে গিয়ে এসব অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায় ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মশিউর রহমানের বিরুদ্ধে। ভুমি অফিসে দেখা মিলছে খাজনা খারিজের নামে সাধারণ সেবা প্রত্যাশিদের কাছ থেকে নেওয়া হচ্ছে গলাকাটা ফি।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে পয়না গ্রামের এক ব্যক্তি জানান, কিছুদিন আগে জমির খাজনা খারিজ করেছি। এখন নিজ নামে হোল্ডিং করতে এসেছিলাম এরা ২০০০ টাকা দাবী করে। যেখানে হোল্ডিং করতে কোন টাকাই খরচ হয় না। কিন্তু টাকা না দিলে কাজও হবে না। পরে তহসিলদারকে অনুরোধ করে ২০০টাকা কম রাখছে ১৮০০টাকা দিয়ে আসলাম।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে চাইলে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মশিউর রহমান বলেন, আমি কারো থেকে অতিরিক্ত কোন টাকা নেইনি। চেকে যেটা লেখা আছে সেটাই নিয়েছি। ভূমি অফিসে অনেক ধরনের লোক আসে অনেক কথাবার্তা বলে থাকে আমার বিরুদ্ধে এসব মিথ্যা কথা বলা হয়েছে।
নওগাঁ সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রফিকুল ইসলাম বলেন, এ বিষটি আমার জানা নেই। যদি এমনটা হয়ে থাকে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আমি বিষয়টি খতিয়ে দেখবো।
এমি/দীপ্ত