নওগাঁর মানবিক পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রাশিদুল হকের সহধর্মিনী নূর জান্নাতুল ফেরদৌস নওগাঁর সরকারী শিশু পরিবার নিবাসীর এতিম শিশুদের সঙ্গে ইফতার করেছেন। ইফতার শেষে শিশুদের ঈদ উপহারও দিয়েছেন তিনি। নিবাসের ৫৮জন এতিম শিশুদের মধ্যে ১০জন শিশু ছিলো যাদেরকে ময়লার ডাস্টবিন থেকে কুড়িয়ে পাওয়ার পর এই শিশু নিবাসে বড় করা হচ্ছে।
সোমবার (১০এপ্রিল) শহরের অভিজাত বিপি (বাংলাদেশ পুলিশ) রেস্টুরেন্টে ইফতার করতে পেরে এবং সুন্দর উপহার পাওয়ার পর আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়ে অনেক এতিম শিশু। এসময় এতিমদের সঙ্গে ইফতার করেন এবং ইদ উপহার তুলে দেন পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রাশিদুল হক ও সহধর্মিনী নূর জান্নাতুল ফেরদৌস। এসময় জেলা পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশ সুপারের সহধর্মিনী নূর জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন এই শিশুরাও চায় অন্য সব শিশুর মতো স্বাভাবিক জীবন–যাপন করতে। কিন্তু তারা তা করতে পারে না। তাই এই শিশুদের নিয়ে পরিবারের সবাই মিলে একসঙ্গে ইফতার করতে এবং ঈদের উপহার তুলে দিতেই মূলত আমার এমন উদ্যোগ গ্রহণ করা। কারণ এই শিশুদের বাবা কিংবা মা যদি বেঁচে থাকতো তাহলে আজ তাদেরকে এতিম হতে হতো না এবং ঈদের সময় তারা বাবা–মা কিংবা অন্য আত্মীয়দের কাছ থেকে কিছু না কিছু উপহার পেতো। আমি তাদের সেই পাওয়াটাকে একটু পূরণ করার চেস্টা করেছি মাত্র। আগামীতেও এই এতিম শিশুদের নিয়ে এই ধরণের কর্মকান্ড অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
তবে সরকারের পাশাপাশি আমরা যারা সমাজের বিত্তবানরা রয়েছি তারা সবাই যদি বিভিন্ন উৎসবে সাধ্যমতো সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে এই এতিম শিশুদের পাশে দাঁড়াই তাহলে এই শিশুদের যে কোন পরিবার নেই সেটা তারা বুঝতে পারতো না। এছাড়া একটি স্বপ্ন বুকে ধারণ করে তারা বড় হওয়ার অনুপ্রেরণাও পেতো।
জেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা নুর মোহাম্মদ বলেন এমন উদ্যোগ নি:সন্দেহে প্রশংসার দাবী রাখে। সমাজের অন্য মানুষরা যখন এই এতিমদের নিয়ে কিছু ভাবার সময় পায় না তখন পুলিশ সুপার স্যারের সহধর্মিণীর এমন ব্যক্তি উদ্যোগ সত্যিই এক বিরাট অনুপ্রেরণা। তিনি একদিন এই শিশুপল্লী ঘুরতে এসেছিলেন। তখনই তিনি এই শিশুদের নিয়ে কিছু করার আশা ব্যক্ত করেছিলেন। এমন মহৎ কাজে আমরা অভিভূত। আমি আশাবাদি আগামীতে অন্যরাও এমন ভালো ও মহৎ কাজে এগিয়ে আসবেন।
যূথী/ দীপ্ত সংবাদ