পাকিস্তানের বিপক্ষে নিজেদের শেষ ম্যাচে পয়েন্ট ভাগাভাগির মধ্য দিয়েই আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির মিশন শেষ হয় বাংলাদেশের। তবে মাঠের হিসাবে টাইগারদের মিশন শেষ হলেও, অর্থ আয়ের হিসাবে বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি মিশন এখনো চলমান।
টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই আইসিসি ঘোষণা দিয়েছিল, পারফরম্যান্স অনুযায়ী কোন দল কত টাকা পাবে। টুর্নামেন্টে জয় না পাওয়া দলও অর্থাৎ শুধুমাত্র টুর্নামেন্টে সুযোগ পাওয়ায় বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ কোটি ৫১ লাখ ৩ হাজার টাকা পাচ্ছে দলগুলো। টুর্নামেন্টে সপ্তম ও অষ্টম অবস্থানে থাকা দল পাবে বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ কোটি ৬৯ লাখ ১৫ হাজার টাকা। আর পঞ্চম ও ষষ্ঠ দলের জন্য প্রাইজমানি হিসেবে বরাদ্দ রয়েছে ৪ কোটি ২২ লাখ ৮৮ হাজার টাকা।
‘এ’ গ্রুপে পাকিস্তানের সমান ১ পয়েন্ট পেয়েছে বাংলাদেশ। তবে নেট রানরেটে এগিয়ে থাকায় গ্রুপের ৩ নম্বর হয়ে টুর্নামেন্ট শেষ করেছেন শান্ত বাহিনীরা। তাই এখন পর্যন্ত অবস্থান হিসেবে ষষ্ঠ অবস্থানেই আছে টাইগাররা। কারণ, এখন পর্যন্ত কোনো পয়েন্ট না পাওয়া ইংল্যান্ড দল ‘বি‘ গ্রুপে রয়েছে সবার তলানিতে। তাই আপাতত টুর্নামেন্টে অষ্টম অবস্থানেই রয়েছে ইংলিশরা।
তবে নিজেদের শেষ ম্যাচে যদি দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে জয় পায়, সেক্ষেত্রে ২ পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশকে টপকে ষষ্ঠ অবস্থানে আসর শেষ করবে বাটলার বাহিনী। আর হারলেই পকেট ভারী হবে বাংলাদেশের। কোনো ম্যাচে জয় না পাওয়ায় অষ্টম দল হিসেবে ইংল্যান্ড ও ষষ্ঠ দল হিসেবে আসর শেষ করবে বাংলাদেশ।
এতে অংশগ্রহণ ফির ১ কোটি ৫১ লাখ ৩ হাজার টাকার সঙ্গে যুক্ত হবে ষষ্ঠ স্থানে থেকে টুর্নামেন্ট শেষ করার জন্য ৪ কোটি ২২ লাখ ৮৮ হাজার টাকা। অর্থাৎ সব মিলিয়ে ৫ কোটি ৭৩ লাখ ৯১ হাজার টাকা পকেটে ঢুকবে শান্ত বাহিনীর।
তাই, টাকার অংকের হিসেবটা বুঝে নিতে দক্ষিণ আফ্রিকা–ইংল্যান্ড ম্যাচের দিকে বাড়তি নজর রাখতেই পারে বিসিবি।
আল/ইআর/দীপ্ত