পশ্চিমাদের সহায়তায় রাশিয়ার অভিযান থামানোর চেষ্টা করছে ইউক্রেন। জাতিসংঘ বলছে এক বছরে রুশ অভিযানে মারা গেছে ৮ হাজার মানুষ। বাস্তচ্যূত হয়েছে ১ কোটি ২০ লাখ ইউক্রেনিয়।
ব্যাপক সেনা সমাবেশ ঘটিয়ে ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলার নির্দেশ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভজুড়ে বেজে উঠে বিমান হামলার সাইরেন। এর কিছু পরেই জল, স্থল ও আকাশপথে হামলা চালায় রুশ সেনাবাহিনী।
মূলত প্রতিবেশী দেশ ইউক্রেন ন্যাটোতে যোগদানের ঘোষণা দেয়ার পর, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের ডনবাস অঞ্চলে সামরিক অভিযান শুরু করে।এসময় রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউক্রেনের মিত্রদেশগুলো। কিন্তু অপ্রতিরোধ্য পুতিন প্রশাসন অক্টোবরে ইউক্রেনের দোনেৎস্ক, খেরসন, লুহানস্ক ও জাপোরিঝঝিয়া, এই চার অঞ্চলকে রাশিয়ার ভূখণ্ডে অন্তর্ভুক্তির ঘোষণা দেয়।
রুশদের থামাতে শুরু থেকেই পালটা হামলা চালাচ্ছে ইউক্রেন। পশ্চিমাদের অর্থ ও অস্ত্র সহায়তায় ধীরে ধীরে শক্তিশালী হচ্ছে তারা।
এই যুদ্ধের ভুক্তভোগী হয়েছে সাধারণ মানুষ। এরমধ্যে ৮০ লাখের বেশি পাশের দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে। আর প্রায় ৪০ লাখ ইউক্রেনের ভেতরেই অন্য অঞ্চলে আশ্রয় নিয়েছে।
রুশ হামলায় জ্বালানি ও বিদ্যুৎ অবকাঠামো ভেঙে পরেছে। ফলে কনকনে ঠাণ্ডায় রাত পার করছে লাখ লাখ মানুষ। নেই সামান্য ভালো পানির ব্যবস্থা। খাদ্য ও চিকিৎসা সংকট দেখা দিয়েছে ।
ইউক্রেনের সরকারি হিসাব অনুযায়ী, যুদ্ধের কারণে ইউক্রেনের ১২ লাখ হেক্টর সংরক্ষিত এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এক বছরে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ১৩৮ বিলিয়ন ইউএস ডলার।
অনু/দীপ্ত সংবাদ