বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরে আগে তার মা বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে এভারকেয়ার হাসপাতালে যাবেন বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন এ তথ্য জানান তিনি।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বিমানের নিয়মিত ফ্লাইটে বাংলাদেশ সময় বুধবার মধ্যরাতে রওনা করবেন তারেক রহমান। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা ৫০ মিনিটে অবতরণ করবেন ঢাকায়। স্থায়ী কমিটির সদস্যরা তাকে অনাড়ম্বর সংবর্ধনা দেবে বিমানবন্দরে। এভারকেয়ারে যাওয়ার পথে ৩০০ ফিটে দেশবাসীর উদ্দেশে কথা বলবেন অত্যন্ত সংক্ষিপ্তভাবে। তারেক রহমান ছাড়া অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে অন্য কেউ বক্তব্য দেবেন না। এভারকেয়ার থেকে চলে আসবেন বাসভবনে।’
তিনি বলেন, ‘২৬ তারিখ বাদ জুমা বাসা থেকে বের হয়ে প্রথমে যাবেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে, তারপর সাভার স্মৃতিসৌধে যাবেন। ২৭ তারিখ নির্বাচন কমিশনে ভোটার ও এনআইডি কার্ড কার্যক্রম সম্পন্ন করে শহীদ ওসমান হাদির কবর জিয়ারত করবেন। এরপর পঙ্গু হাসপাতালে জুলাইয়ের আহত যোদ্ধাদের দেখতে যাবেন।’
মানুষের দুর্ভোগ যেন না হয়, তাই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কিংবা মানিক মিয়া এভিনিউয়ের মতো রাজধানীর কেন্দ্রে অভ্যর্থনা অনুষ্ঠান করা হয়নি উল্লেখ করে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘বিএনপির পক্ষ থেকে আন্তরিকভাবে ক্ষমা চান সাধারণ মানুষের অসুবিধা ও কষ্টের জন্য। যা মানুষের দুর্ভোগের কারণ হয়, তারেক রহমান তা পছন্দ করেন না। নির্দেশনা পালনের শতভাগ চেষ্টা করার পরও মানুষের আবেগের কারণে এ অনুষ্ঠান।’
বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘ইতিহাস হতে চলেছে, যার সাক্ষী হয়ে থাকবে দেশবাসী। তবে এতো বড় অনুষ্ঠান ত্রুটিহীন করা ক্ষুদ্র কমিটির পক্ষে সম্ভব নয়। তাই শৃঙ্খলার সঙ্গে আয়োজনকে সফল করার আহ্বান জানাই। এবং এ আয়োজনে জনদুর্ভোগ হবে, জাতির কাছে এ বিষয়ে আগাম দুঃখ প্রকাশ করছি।’
সার্বিক প্রস্তুতির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানের ২০টি মেডিকেল টিম, অ্যাম্বুলেন্স, মঞ্চের কাছাকাছি ৬ শয্যার মেডিকেল ক্যাম্প ও আইসিইউ সুবিধা সম্পন্ন অ্যাম্বুলেন্স থাকবে।’