জাতীয় সংসদে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, দেশে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে বর্তমান সরকার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের কারনে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখা এবং সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা সম্ভব হয়েছে। আগামীতেও যাতে বাজারে কোনো অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয়, সে লক্ষ্যে কার্যক্রম চলমান আছে।
মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদে ঢাকা–২০ আসনের সংসদ সদস্য বেনজীর আহমদের প্রশ্নের উত্তরে এ কথা জানান বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ২০২২–২৩ অর্থবছরে সার্কভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে ২৩ বিলিয়ন ডলার বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি ঘাটতি ভারতের সঙ্গে। ২০২২–২৩ অর্থবছরে ভারত, চীন ও পাকিস্তানসহ সার্কভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ ২৩ হাজার ৭৭ দশমিক ২৯ মিলিয়ন (প্রায় ২৩ বিলিয়ন) মার্কিন ডলার।
বিপরীতে বাণিজ্য উদ্বৃত্ত রয়েছে নেপাল, শ্রীলংকা ও মালদ্বীপের সঙ্গে। চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি ১৫ হাজার ৪৮৮ দশমিক ৮৪ মিলিয়ন ডলার।
সংসদে গণফোরামের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খানের প্রশ্নের উত্তরে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাজারে যেন অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয়, সেই জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নিয়মিত মনিটরিং করছে। বাজারে সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখতে আমদানিতে বাধা দূর করা, শুল্ক হার কমানো, গ্যাস–বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা, বন্দরে দ্রুত খালাস নিশ্চিত করা, এলসি অনুযায়ী পণ্য আমদানি তদারকিসহ সম্ভাব্য সব ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। চিনি ও ভোজ্যতেলের ওপর আরোপকৃত শুল্ক হার আরও যৌক্তিক করার জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে অনুরোধ করা হয়েছে।
লক্ষ্মীপুর–১ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন খানের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, পরিবহন ব্যয় বৃদ্ধি, ডলারের মূল্যবৃদ্ধি ও চলমান রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে আমদানি নির্ভর নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েছে। যার প্রভাব পড়েছে গরম মসলাসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ওপর।
মোরশেদ আলম/দীপ্ত নিউজ