দেশে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে প্যারাসিটামল ও ওমিপ্রাজল গ্রুপের ওষুধ। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই এগুলো সেবন করছে মানুষ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দীর্ঘদিন এসব ওষুধ খেলে নিউমোনিয়া, স্নায়ু বৈকল্য, কিডনি রোগ ও হেপাটাইটিসসহ বিভিন্ন রোগ দেখা দিতে পারে।
মানুষের জীবনযাত্রায় পরিবর্তন এসেছে। খাদ্যাভাস, ঘুম ও বিশ্রামের সময় পাল্টে গেছে। ফলে, বেশিরভাগ মানুষ অম্ল বা গ্যাস্ট্রিকের অসুখে ভুগছেন। সেইসঙ্গে আছে জ্বর, ঠান্ডার মতাে অসুখ। এসব রোগে বেশিরভাগ সময় চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই প্যারাসিটামল ও অমিপ্রাজল গ্রুপের বিভিন্ন ওষুধ খান রোগীরা। ফলে এসব ওষুধের বিক্রিও বেশি।
প্যারাসিটামল ও ওমিপ্রাজলসহ দেশে ৩৯টি ওষুধ ‘ওভার দ্য কাউন্টার‘ বা ওটিসির আওতায় আছে। যা কিনতে প্রেসক্রিপশন লাগে না। ফলে, ফার্মেসিও বিক্রি করতে বাধ্য।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সব ধরনের ওষুধেরই কোন কােন না পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে। নির্দিষ্ট মাত্রার চেয়ে বেশি পরিমানে এসব ওষুধ খেলে নানা ধরনের রোগ বাড়বে।
কুর্মিটােলা জেনারেল হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. আহমেদ লুৎফুল মুবীন বলেন, জীবনযাপন পদ্ধতি পরিবর্তন এবং প্রাকৃতিক নানা উপায় অবলম্বন করলে অনেক ওষুধ খাওয়া থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়।
এসএ/দীপ্ত সংবাদ