রাজধানীসহ সারাদেশে দিন দিন বাড়ছে তরলীকৃত পেট্রােলিয়াম গ্যাস–এলপিজির ব্যবহার। এসব সিলিন্ডার বিতরণ ও ব্যবহার নীতিমালা থাকলেও তা সঠিকভাবে মানা হয়না। ফলে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সিলিন্ডার থেকে চুলা পর্যন্ত প্রতিটি পদক্ষেপে প্রতিনিয়ত পরীক্ষা–নীরিক্ষা করা প্রয়ােজন।
জানা যায়, রাজধানীতে নির্মাণাধীন নতুন ভবন মিলছে না গ্যাস লাইনের সংযােগ। ফলে রান্নার কাজে বাধ্য হয়েই এলপিজি ব্যবহার করছেন নাগরিকরা। নতুন ভবনে গ্যাস সিলিন্ডার থাকছে নিচ তলায়। যেগুলাের সংযােগ থাকছে পুরো ভবনে।
এদিকে রাজধানীর বেইলি রােডে অগ্নিকাণ্ডের পর এসব সিলিন্ডারের ব্যবহার নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে নগরবাসীর মাঝে।
দেশে মোট ১৮টি কােম্পানী এলপিজি গ্যাস বাজারজাত করে। আর লাইসেন্স আছে ৫৮টি প্রতিষ্ঠানের। এসব সিলিন্ডার গ্রাহকের দোরগােড়ায় পৌঁছানো পর্যন্ত নেই কােন মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ৯
বিক্রেতারা জানান, ডিলার থেকে মাল নেয়ার সময়ে সিলিন্ডারের গায়ে কোন ধরনের মেয়াদের তারিখ দেয়া থাকে না। সেই সঙ্গে ব্যবহারের জন্য কোন ধরনের নির্দেশনাও দেয়া হয় না।
এদিকে সিলিন্ডার ব্যবহারের আগে লিকেজ আছে কি না, হােস পাইপ, রেগুলেটর, গ্যাস ভালব ঠিক আছে কি না তা নিয়মিত পরীক্ষার পরামর্শ বিশেষজ্ঞরা।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দা সুলতানা রাজিয়া বলেন, সিলিন্ডার ব্যবহারের আগে গ্রাহকদের পরীক্ষা–নিরীক্ষা করে নিতে হবে। বিশেষ করে গ্যাসে লিকেজ আছে কি–না চেক করে নিতে হবে। প্রয়ােজনে গ্যাস লিকেজ ডিটেক্টর রাখতে হবে।
সাধারণত একটি সিলিন্ডারের মেয়াদ ১০ থেকে ১৫ বছর থাকে।
এজে/আল / দীপ্ত সংবাদ